কর্মসূচিতে হেল্প ডেস্কে সাহায্য কন্যাশ্রী মেয়েদের। নিজস্ব চিত্র।
দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে আসা মানুষের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিল কন্যাশ্রী মেয়েরা। সেখান থেকে নাবালিকা বিয়ে রোধেও প্রচার চালাল চাকুলিয়ার কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েরা। বৃহস্পতিবার চাকুলিয়ার কানকিতে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে শামিল হলেন এলাকার কন্যাশ্রীরা।
কানকি জৈন বিদ্যামন্দিরে অনুষ্ঠিত শিবিরে এক পাশে ‘হেল্প ডেস্ক’ করে কয়েকজন পড়ুয়া বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা মানুষকে বোঝানোর কাজ শুরু করে। লক্ষ্মী ভাণ্ডারের প্রকল্পের আবেদনপত্র পূরণেও সাহায্য করে। ব্লক প্রশাসনের দাবি, জেলার মধ্যে গোয়ালপোখর-২ ব্লকে এই ধরনের উদ্যোগ প্রথম। ইসলামপুরের মহকুমাশাসক সপ্তর্ষি নাগ জানিয়েছেন, একই রকম 'হেল্প ডেস্ক' অন্য ব্লকেও চালু করা হবে। এদিন হেল্প ডেস্ক করে কোথাও স্কুল পড়ুয়ারা, আবার কোথাও কলেজ পড়ুয়ারা বসেন। শিবিরে নাবালিকা বিয়ে রোধে প্রচারও চালানো হয়।
গোয়ালপোখর-২ বিডিও কানাইয়াকুমার রায় বলেন, ‘‘শিবিরে গিয়ে কন্যাশ্রী হেল্প ডেস্ক এর মেয়েদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা পাড়ার, গ্রামের পরিচিত মানুষজনকে সাহায্য করতে পেরে খুশি বলে জানিয়েছেন। শিবিরে বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বলেছেন, আবেদনপত্র পূরণেও সাহায্য করেছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রত্যেকটি শিবিরেই কন্যাশ্রীর মেয়েদের হেল্প ডেস্ক করতে বলা হয়েছে।
চাকুলিয়া হাই স্কুলের ছাত্রী, মধুমিতা দাস, আফিফা খাতুন, ডালখোলা কলেজের ছাত্রী শ্যামলী দে, শিরসি সিনিয়ার হাই মাদ্রাসার ছাত্রী মামুদার কথায়, সরকারের কর্মসূচি নিয়ে আমাদের ধারণা ছিল। হেল্প ডেস্কে অনেকেই লক্ষ্মী ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, আবেদনের জন্য এসেছিলেন। এলাকার বাসিন্দাদের নানা প্রশ্নের জবাবও দিয়েছি। তাতে আমাদেরও সামাজিক পরিচয় হল, কী ভাবে মানুষের কাজ করতে হয়, তা-ও শিখতে পারলাম। তাঁরা জানিয়েছেন, কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের খোঁজে অনেক অভিভাবকেরা তাঁদের কাছে এসেছেন। কেউ জানতে চেয়েছেন, কী ভাবে কন্যাশ্রী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে হয়। তাঁদের ব্লক অফিসের কোথায় কী ভাবে যোগাযোগ করতে হবে, তা জানানো হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের জেলা আধিকারিক অনির্বাণ রায় বলেন, ‘‘করোনা আবহে নাবালিকা বিয়ে বেড়ে গিয়েছিল। এই কর্মসূচির মাধ্যমে কন্যাশ্রীরা ফের নাবালিকা বিয়ে আটকানোর প্রচার চালাল।’’