প্রতীকী ছবি।
দলে গুরুত্ব বাড়ল প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের মালদহ জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনকে সরিয়ে সেখানে বসানো হল কৃষ্ণেন্দুকে। তবে, মোয়াজ্জেমেরও গুরুত্ব বাড়িয়ে তাঁকে রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মালদহ জেলা তৃণমূলে সাংগঠনিক কিছু পুনর্বিন্যাসও করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে কলকাতায় তৃণমূলের মালদহ জেলা কোর কমিটির সাত সদস্যদের সঙ্গে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) বৈঠকের পর এই রদবদল হয়েছে।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্ব মালদহের জেলা নেতাদের দ্বন্দ্ব ভুলে ফের এক হয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি, আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে দলের ব্লক ও অঞ্চল কমিটিগুলি ঘোষণা করতে বলা হয়েছে। এ দিন বিকেলে কলকাতার সল্টলেকের একটি কার্যালয়ে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন পিকে। সেখানে দলের মালদহ জেলা সভাপতি মৌসম নুরও ছিলেন।
মাত্র দু-তিন মাস আগে তৃণমূলের মালদহ জেলা কমিটি গঠিত হয়। সেই সময়ই জেলায় দল সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য পাঁচ জনের কোর কমিটি করা হয়। তার চেয়ারম্যান ছিলেন মোয়াজ্জেম। কমিটিতে ছিলেন মৌসম এবং তিন কো-অর্ডিনেটর, মানব বন্দ্যোপাধ্যায়, দুলাল সরকার ও অম্লান ভাদুড়ি। সে সময়ই কৃষ্ণেন্দুকে রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলায় কো-অর্ডিনেটরের সংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে পাঁচ জনকে। নতুন দুই কো-অর্ডিনেটর হলেন মোথাবাড়ি বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন এবং জেলা কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা। আপাতত সাবিনাকে নিজের বিধানসভা ও হেমন্তকে হবিবপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, জেলায় কোর কমিটিতে নেওয়া হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষকে। জেলায় দলকে পরিচালনা করবেন এই কোর কমিটির সদস্যরাই।
দলীয় সূত্রে খবর, এ দিন বৈঠকে মালদহের ১২টি বিধানসভা আসনের ভোট প্রস্তুতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়। তবে, প্রার্থী কাদের করা হবে তা নিয়ে অবশ্য আলোচনা হয়নি। মৌসম বলেন, ‘‘কলকাতায় দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে কিছু সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাস হয়েছে। সবাইকে এক হয়ে চলার বার্তা দেওয়া হয়েছে।’’