—ফাইল চিত্র।
দলীয় এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান সাজ্জাদ আলির বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তোলেন তিনি। দু’দিন আগে ওই প্রধানের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যাক্তি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান সাজ্জাদ আলি। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ।
পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, “বামনগোলার মদনাবতী গ্রামে বিডিও অফিসের সিল, বিডিও-র সই জাল করে তৃণমূলের প্রধান টেন্ডার ডাকছেন। এখন দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করছেন তৃণমূলের নেতারাই। পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল যে দুর্নীতি করছে এক এক করে তার প্রমাণ সামনে আসছে।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ডিসেম্বরে ইংরেজবাজারের যদুপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি শিবির করে গ্রামবাসীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। অভিযোগ, যাবতীয় নথি জমা দিলেও এখনও গ্রামবাসীদের অনেকে ব্যাঙ্কের পাসবুক হাতে পাননি। মেলেনি এটিএম কার্ডও। অভিযোগ, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে ধান কেনার টাকা থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা জমা পড়ছে। সেই টাকাই ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের একাংশের সহযোগিতায় প্রধান তুলে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন কৃষ্ণেন্দু।
সোমবার কৃষ্ণেন্দু বলেন, “গ্রামবাসীর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রধান সরকারি প্রকল্পের টাকা লোপাট করছেন। দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল।” আদিবাসীদের জন্য চালু জয় জোহার প্রকল্পেও ওই প্রধান দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন কৃষ্ণেন্দু। তিনি বলেন, “বেআইনি ভাবে ৩৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হওয়া জরুরি।” প্রধান সাজ্জাদ আলি বলেন, “ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবুক কেন গ্রামবাসীরা পাননি তা জানা নেই। আমি কোনও দুর্নীতি করিনি। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” দলের অন্দরমহলের খবর, সাজ্জাদ আলি ইংরেজবাজারের বিধায়ক তথা পুরপ্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এ বিষয়ে নীহার বলেন, “প্রধান অত্যন্ত সৎ লোক। দলেরই কিছু নেতা তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।”