কল্যাণ সিংহ।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার ফলাফল পেতে পড়ুয়াদের ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে নানা সমস্যায় পড়তে হল উত্তরবঙ্গে। শুক্রবার ফল প্রকাশ পায় দুপুরের দিকে। রাত পর্যন্ত পাওয়া খবরে উত্তরবঙ্গের স্কুলগুলোর মধ্যে আইসিএসই স্তরে ৯৯ শতাংশ পেয়েছেন শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার সেক্রেড হার্ট স্কুলের ছাত্র কল্যাণ সিংহ। স্কুল সূত্রে যে নম্বর জানানো হয়েছে তাতে, উত্তরবঙ্গে তাদের এই পড়ুয়াই সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। এরপর রয়েছেন শিলিগুড়ির অক্সিলিয়াম কনভেন্টের ছাত্রী রুচিকা আগরওয়াল। পেয়েছেন ৯৮.৮ শতাংশ।
করোনা পরিস্থিতিতে ফল দেখার জন্য স্কুলে যাওয়ার ব্যাপার ছিল না। অনলাইনেই ফল দেখতে হয়েছে সকলকে। স্কুল কর্তৃপক্ষের একটি অংশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, উত্তরবঙ্গে ৮৬ শতাংশ ছাত্রছাত্রী আইসিএসই এবং ৮১ শতাংশ ছাত্রছাত্রী আইএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছেন। এবছর বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
বাগডোগরার গুড শেফার্ড স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে তাদের ছাত্র সুতনু সেন আইসিএসইতে ৯৮.৬ শতাংশ পেয়েছেন। সেক্রেড হার্ট স্কুলের ছাত্র আদিত্য আমন, আলফ্রান্সো স্কুলের সাজিদ হোসেনও ৯৮.৬ শতাংশ পেয়েছেন। শিলিগুড়ির সেন্ট মাইকেল স্কুলের তিন পড়ুয়া রিমা আগরওয়াল, পৃথীকা গুপ্ত এবং ইশা আগরওয়াল এবং ডন বস্কো স্কুলের ইশান্ত রায় ৯৮.৪ শতাংশ পেয়েছেন।
আইএসসি’তে শিলিগুড়ির ডন বস্কো স্কুল মায়াঙ্ক কেডিয়া এবং রোমাক চিরানিয়া ৯৮.৫ শতাংশ পেয়েছেন। ভক্তিনগর স্কুলের রূপলেখা দত্ত আইএসসি’ ৯৮.৪ শতাংশ পেয়ে স্কুলের সেরা।
ডন বস্কো স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, আইসিএসই’তে তাদের ৮৫ জন পড়ুয়া ৯০ শতাশের উপরে নম্বর পেয়েছেন। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৮০ জন। আইএসসি’তে ৯০ শতাংশের উপরে পেয়েছেন ৬৫ জন পড়ুয়া। মোট পরীক্ষার্থী ১৩৫ জন। বাগড়োগরার গুড শেফার্ড স্কুল থেকে আইসিএসই স্তরে ৭৭ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। সেক্রেড হার্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, এ বছর আইসিএসই স্তরে তাদের স্কুল থেকে ১০০ জন পরীক্ষা দিয়েছে। তার মধ্যে ৯০ শতাশের উপরে নম্বর পেয়েছেন ৫১ জন।