কালিয়াচকের ভীমা গ্রামে রবিবার সকাল থেকেই গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে একটি মসজিদ-সহ বহু ঘর। —নিজস্ব চিত্র।
উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের চোখরাঙানি নেই। আপাতত গঙ্গায় জলস্তরও কম। তা সত্ত্বেও ভাঙনের গ্রাসে তলিয়ে গেল মসজিদ, ঘরবাড়ি। মালদহের কালিয়াচকের ভীমা গ্রামে রবিবার সকাল থেকেই গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে একটি মসজিদ-সহ বহু ঘর। ভাঙন রুখতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। যদিও প্রশাসনের দাবি, ভাঙন প্রতিরোধে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের ভীমা গ্রামে গঙ্গার ভাঙনে আস্ত একটি মসজিদ তলিয়ে গিয়েছে। একে একে নদী গর্ভে গিয়েছে ঘরবাড়িও। আতঙ্কিত বাসিন্দাদের আর্তি, দ্রুত তাঁদের ত্রাণ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক। রবিবার নাসিকটোলা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ জুলফিকার আলি বলেন, ‘‘ভীমা গ্রামে গঙ্গার ধারে একটি মসজিদ ছিল। তবে ইতিমধ্যেই তা গঙ্গার গর্ভে। নদীর পাড়ে যতগুলো বাড়ি ছিল, সমস্ত একে একে পড়ে যাচ্ছে। নদীর ধার থেকে আমরা আস্তে আস্তে পিছনে সরছি আর ঘরবাড়ি কেড়ে নিচ্ছে গঙ্গা।’’ তাঁর দাবি, ‘‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও সাহায্যই পাইনি। আমাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’’
ভাঙন প্রতিরোধে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তারা জানিয়েছে, চলতি মাসের গোড়ায় ভাঙনগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। সাবিনার দাবি, ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থার জন্য ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে ব্যারেজের কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, ভাঙনপ্রবণ এলাকা হওয়ায় এর স্থায়ী ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। যদিও ওই প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে। অন্য দিকে, ভাঙনের জেরে এলাকায় বন্যা রুখতে বালির বস্তা ফেলে তা অস্থায়ী ভাবে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করছে সেচ দফতর।