প্রতীকী ছবি।
বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে চাষের জমিতে কাজের সময় এক মূক-বধির যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। এমনকি, ধর্ষণের পর বেধড়ক মারধরে সংজ্ঞাহীন যুবতীকে খুনের চেষ্টাও সে করেছে বলে শনিবার মালদহের মানিকচক থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবতীর দাদা। পলাতক অভিযুক্তের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে গুরুতর জখম যুবতীকে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা মজিফুল শেখের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় ধর্ষণ-সহ খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন ওই যুবতীর দাদা শেখ গিসু। তবে ঘটনার পর থেকেই এলাকা থেকে চম্পট দিয়েছে মজিফুল।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, বছর পঁচিশের ওই যুবতীর মা-বাবা নেই। দাদার সঙ্গেই নুরপুরে থাকেন তিনি। শেখ গিসুর দাবি, প্রতি দিনের মতোই শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ বাড়ি থেকে প্রায় একশো মিটার দূরে চাষের জমিতে কাজ করতে দিয়েছিলেন তাঁর বোন। তবে দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও তিনি বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ৮টা নাগাদ অর্ধনগ্ন অবস্থায় বাড়ি ফেরে্ন তিনি। গিসু বলেন, ‘‘রাতে ফেরার পর দেখি, বোনের জামাকাপ়ড় ছেঁড়া। প্রশ্ন করতেই ইশারায় বলে, তাঁকে ধর্ষণ এবং মারধরও করেছে পাড়ার এক যুবক। এমনকি, গলা টিপে খুনেও চেষ্টা করা হয়েছিল।’’ অভিযুক্তের নামও জানিয়ে দেন ওই যুবতী। এর পর রাতেই থানায় অভিযোগ জানান শেখ গিসু।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরের জেরে যুবতীটি সংজ্ঞা হারালে তাঁকে গলা টিপে খুনের চেষ্টা করে অভিযুক্ত। এর পর সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে স্থানীয় প্রতিবন্ধী সংগঠন। শেখ সারেক নামে সংগঠনের এক সদস্যের দাবি, ‘‘ওই যুবতী ইশারায় জানিয়েছেন, এর আগেও তাঁকে ধর্ষণ করেছিল ওই যুবক। এমনকি, সে সময় তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাঁর গর্ভপাতও করায় ওই যুবকটি। এ ধরনের নিন্দনীয় ঘটনায় অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তি চাই।’’