Kali Pujo

বাজির শব্দহীন এ যেন অন্য কালীপুজো, উত্তর দিনাজপুরে আশঙ্কা গভীর রাত নিয়ে

অন্যান্য বছরে রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড়, দেহশ্রী মোড়, ঘড়ি মোড়, বিদ্রোহী মোড় ছাড়াও বেশ কয়েকটি পাড়ার নাম উঠে আসে বেশি আতসবাজি ফাটানোর জন্য। এর মধ্যে রয়েছে কুমারডাঙ্গী, বন্দর, উকিলপাড়া এলাকা। বাজি ফাটাতে কাউকে দেখা যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২০ ১৯:৪১
Share:

প্রায় শব্দ বাজিহীন উত্তর দিনাজপুরের পুজো। নিজস্ব চিত্র।

হাইকোর্টের নির্দেশ অনেকটাই মেন চললেন উত্তর দিনাজপুরের মানুষ। পুলিশের বক্তব্য, প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বাজি ফাটাননি। জেলার বড় শহর কালিয়াগঞ্জ, ইসলামপুর, ডালখোলা বা জেলা সদর রায়গঞ্জে সন্ধে থেকেই তেমন ভাবে আতশবাজি ফাটতে দেখা যায়নি। পাশাপাশি পুলিশি টহলদারিও নজরে এসেছে। তবে কান পাতলে দূরে কোথাও মাঝে সাজে যে একটা দুটো বাজি ফাটছে সে শব্দ কানে এসেছে।

Advertisement

অন্যান্য বছরে রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড়, দেহশ্রী মোড়, ঘড়ি মোড়, বিদ্রোহী মোড় ছাড়াও বেশ কয়েকটি পাড়ার নাম উঠে আসে বেশি আতসবাজি ফাটানোর জন্য। এর মধ্যে রয়েছে কুমারডাঙ্গী, বন্দর, উকিলপাড়া এলাকা। বাজি ফাটাতে কাউকে দেখা যায়নি। তবে এ বার সে সব জায়গাতেও বিশেষ আতশবাজি দেখা যায়নি। আতশবাজি ফাটাতে পছন্দ করলেও এ বার সংযত অনেকে। রায়গঞ্জ শহরের এমনই এমনই এক ব্যবসায়ী অশোক শেঠিয়া বললেন, সত্যিই এ বার প্রশাসনের নির্দেশকে মান্যতা দিচ্ছে রায়গঞ্জবাসী। তবে অনেক ব্যবসায়ীর ক্ষতি হবে, যাঁরা বাজির ব্যবসা করেন। তবুও মানুষের জীবন বিপদে ফেলে উৎসব পালন করা যায় না, উচিতও নয়।

তবে রায়গঞ্জের বাসিন্দা গৃহবধূ মৌসুমী চক্রবর্তীর মতো অনেকেই মনে করেন, আস্তে আস্তে যে ভাবে একটা দু'টো বাজির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে তাতে, রাত গভীর হলে তা বাড়বে। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, "আমরা নজরদারি চালাচ্ছি। কোথাও বাজি পোড়াতে দেখলেই সেই ব্যক্তিকে আটক করা হবে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement