জীবনানন্দের ১১৮ তম জন্মদিন

জীবনানন্দ দাশের ১১৮তম জন্মদিন পালন করল মাথাভাঙ্গার ‘তিতির’ পত্রিকা গোষ্ঠী। জীবনানন্দ দাশের ‘আট বছর আগের একদিন’, ‘রূপসী বাংলা’ পাঠ করলেন স্থানীয় কবিরা। জীবনানন্দের ‘বিষাদ’ কবিতাটি সম্পর্কে আলোচনার সূত্রে কবি পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন হতাশা, কালোবাজারি এবং একই সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা কবির বিষাদের উৎস।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৬ ০২:২৫
Share:

জীবনানন্দ দাশের ১১৮তম জন্মদিন পালন করল মাথাভাঙ্গার ‘তিতির’ পত্রিকা গোষ্ঠী। জীবনানন্দ দাশের ‘আট বছর আগের একদিন’, ‘রূপসী বাংলা’ পাঠ করলেন স্থানীয় কবিরা। জীবনানন্দের ‘বিষাদ’ কবিতাটি সম্পর্কে আলোচনার সূত্রে কবি পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন হতাশা, কালোবাজারি এবং একই সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা কবির বিষাদের উৎস। তাঁর মতে, সমস্যাদীর্ণ সমকালীন সময় থেকে জাত বিষাদ তিনি মিশিয়ে দিয়েছেন, মিলিয়ে দিয়েছেন প্রকৃতির সঙ্গে। জীবনানন্দর কথাসাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেছেন ‘তিতির’-এর সম্পাদক সঞ্জয় সাহা। প্রসঙ্গ সূত্রে তিনি জানান, কবির কথাসাহিত্যের ভাষা অননুকরণীয়। ‘জল্পাইহাটি’ উপন্যাসটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, উপন্যাসটি জলপাইগুড়ি জেলা-কেন্দ্রিক। উপন্যাসটির চরিত্র, তাদের সংলাপ, বিশেষ করে প্রাকৃতিক প্রেক্ষাপটে উঠে এসেছে এই জেলারই কথা। তার মতে, জীবনানন্দ তাঁর উপন্যাসের ওপর খুব বেশি আস্থাশীল ছিলেন না। জীবিত অবস্থায় তিনি একটি উপন্যাসও প্রকাশের উদ্যোগ নেননি। শিলিগুড়ির ‘আজকের অনুভব’ সাহিত্য গোষ্ঠীর পক্ষ থেকেও আয়োজিত হল কবি জীবনানন্দের জন্মদিনটি। প্রাবন্ধিক বাসুদেব রায় জানান, রূপসী বাংলার এই কবির চেতনা, ভাবনা সময়ের চেয়ে শতবর্ষ এগিয়ে ছিল। স্থানীয় কবির কণ্ঠে ছিল জীবনানন্দের কবিতা। পাশাপাশি মালদহ শিল্পী সংসদের উদ্যোগে এবং জেলা গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় জেলা গ্রন্থাগার কক্ষে উদযাপিত হল জীবনানন্দ দাশের জন্মদিবস। জীবনানন্দ দাশের কবিতা সুরারোপ করে গেয়ে শোনান ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী। জীবনানন্দের জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন ত্রিদিব সান্যাল, শক্তিপদ পাত্র, জেলা গ্রন্থাগারিক শম্ভুনাথ ভট্টাচার্য এবং ডি সরকার। জীবনানন্দের কবিতা আবৃত্তি করেন দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্থার সম্পাদক মলয় সাহা জানান, বর্তমান জীবনেও জীবনানন্দের কবিতা ও তাঁকে কেন্দ্র করে সঙ্গীত রূপায়ণ মানুষের মনে দাগ কাটে। ‘ঘাস’ কবিতাটি সুরারোপ করে পরিবেশন করেন মধুমিতা কর্মকার।

Advertisement

লেখা ও ছবি: অনিতা দত্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement