তালিকা ধরে তদন্তে পুলিশ

এসপি বলেন, “তালিকা পাওয়ামাত্র তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে অতিরিক্ত ডিএসপি, পুলিশ সুপার এমনকি আমিও তদন্ত করছি।”

Advertisement

অনির্বাণ রায় 

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:২৬
Share:

—ফাইল ছবি

‘দিদিকে বলো’-তে জমা পড়া অভিযোগের তদন্ত করছেন খোদ জেলা পুলিশ সুপার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ডিএসপিরা। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া অভিযোগের তালিকা দেখে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। গত মাসে উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে জলপাইগুড়ি জেলার দেড়শোরও বেশি অভিযোগের তালিকা রাজ্য পুলিশের ডিজি-র হাতে তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সভাতেই তিনি বলেন, অভিযোগের সিংহভাগ যা নিয়ে, তা তাঁর পক্ষে বলা লজ্জার। প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা যায়, অভিযোগের বেশিরভাগই ছিল অবৈধ ভাবে জমি দখল এবং অভিযোগের নিশানায় ছিল তৃণমূল নেতারা। বেশ কয়েকটি তদন্ত জেলা এসপি অভিষেক মোদী নিজেই করছেন বলে সূত্রের খবর। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারদের বাকি তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে থানা অভিযোগ নিতে চায়নি, বা অভিযোগ নিয়েও পদক্ষেপ করেনি এমন নালিশও রয়েছে। সেই তদন্ত করছেন সিনিয়র অফিসারেরা।

Advertisement

এসপি বলেন, “তালিকা পাওয়ামাত্র তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে অতিরিক্ত ডিএসপি, পুলিশ সুপার এমনকি আমিও তদন্ত করছি।”

জলপাইগুড়ির জেলা আদালতে চায়ের দোকান চালান এক প্রতিবন্ধী মহিলার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছিল। তিনি প্রশাসন-পুলিশকে জানিয়েও কোনও ফল পাননি বলে অভিযোগ। ‘দিদিকে বলো’-তে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মাসখানেক আগে। গত শুক্রবার ও শনিবার তাঁর সঙ্গে এসপি-র দফতর থেকে যোগাযোগ করা হয়। বৃদ্ধার যাবতীয় অভিযোগ শুনেছে পুলিশের বিশেষ টিম। অভিযোগ শোনা হয়েছে মালবাজারের এক ব্যবসায়ীর। তাঁরও জমি দখল হয়েছে বলে অভিযোগ। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া এলাকার এক ছোট ব্যবসায়ী তোলাবাজির অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, পুলিশের সদর দফতর থেকে ফোন পেয়েছেন তিনি। কে তোলা চেয়েছে, কী হুমকি দিয়েছে সেগুলিও শোনা হয়েছে।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের নেতাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, তা রাজ্য নেতৃত্বের তরফেও জেলাকে জানানো হয়েছে। কোনও জনপ্রতিনিধি অথবা প্রাক্তন জেলা নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ডাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত। তখন দল যাতে বাধা না তৈরি করে, তা-ও জানানো হয়েছে। এক তৃণমূল নেতার দাবি, রাজ্য থেকে জানানো হয়েছে, যা হচ্ছে সবটাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হচ্ছে। তাই জেলার কেউ হস্তক্ষেপ করলে উল্টো বিপাকে পড়বে বলেও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement