আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তাই বড়দিঘি স্কুল মাঠ এবং মাল শহরে আদর্শ স্কুলে তৈরি হবে দু’টি হেলিপ্যাড। তারই পরিদর্শনে প্রশাসনের অধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র।
মালবাজারে সরকারি সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সভা থেকে মাল নদীতে বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি এক দিকে যেমন সহানুভূতির বার্তা দেওয়া হতে পারে, তেমনই ডুয়ার্সের জন্য বিশেষ ঘোষণাও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে প্রশাসন সূত্রে মুখ্যমন্ত্রীর যে সফরসূচি পাওয়া গিয়েছে, তাতে আগামী সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর হাসিমারা সেনাছাউনি বা বাগডোগরায় নেমে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে মালবাজারে পৌঁছনোর কথা। বড়দিঘি স্কুলের মাঠে দ্রুততার সঙ্গে হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে।
আগামী মঙ্গলবার মালবাজারে সরকারি বৈঠকে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক হবে না কি সরকারি সভা, তা নিয়ে ধন্ধে ছিল স্থানীয় প্রশাসন। তবে এখনও পর্যন্ত খবর, সরকারি বৈঠক হবে। বৈঠকে ১০০ জন থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে হড়পা বানে মৃত-আহতদের পরিবারের সদস্যেরা থাকবেন। থাকতে পারেন আশপাশের এলাকার বিধায়কেরাও। রাজ্যের কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীও থাকতে পারেন ওই বৈঠকে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর মালবাজার সফরের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য, দশমীর ঘাটে হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানো। leই শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বিজয়া সম্মিলনীর দু’দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে আসতে পারেন।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সফর এবং সভার নিরাপত্তা নিয়ে মালবাজারে বৈঠক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসাররা মালবাজারে পৌঁছেও গিয়েছেন। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু এ দিন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সফর নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক চলছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে কার্যত তুমুল তৎপরতা এখন জেলা প্রশাসনে। সব দফতরের কাজের খতিয়ান তৈরিও চলছে। সূত্রের খবর, প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক না হলেও মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও সময় কাজের হিসাব চাইতে পারেন ভেবেই আগেভাগে সব তৈরি করে রাখায় জোর দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনের একাংশের অনুমান, চা-বাগানের শ্রমিকদের আবাসন প্রকল্প ‘চা-সুন্দরী’র কাজ নিয়ে পৃথক বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। চা-বাগানে জলপ্রকল্প নিয়েও ঘোষণা থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আদিবাসী পড়ুয়াদের উচ্চ শিক্ষার নানা প্রকল্প নিয়েও আলাদা করে আলোচনা হতে পারে। জলপাইগুড়ি জেলার নদীভাঙন নিয়ে আগেই রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য। সেগুলিও তৈরি করছে প্রশাসন।
সব ঠিক থাকলে দীর্ঘদিন পরে, সরকারি বৈঠকে মালবাজারে উপস্থিত থাকতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, ‘‘পুরোটাই সরকারি কর্মসূচি। মুখ্যমন্ত্রী মালবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে হয়তো আসছেন।’’