প্রতীকী ছবি।
সংগঠনের পদ রক্ষা করতে চাইলে একশো জন সদস্য সংগ্রহ করুন, নেতাদের এমনই নির্দেশ বিজেপির। জলপাইগুড়িতে বিজেপির কৃষক সংগঠন নেতাদের ঠিক এ ভাষাতেই নির্দেশ দিয়েছেন। এমন শর্ত জেনে ঘাবড়ে গিয়েছেন দলের নেতারাও। একশো জন সদস্য জোগাড় করতে সময় দেওয়া হয়েছে মাত্র বারো দিন। গত দশ অগস্ট নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে আগামী ২০ তারিখের মধ্যে সব নাম জমা দিতে হবে। শুধু নাম নয় সঙ্গে দিতে হবে ফোন নম্বরও। দলের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ সংগঠনের মধ্যেই। এক কৃষক নেতার কথায়, “দলগত ভাবে অনেক জনকে সদস্য করেছি। এখন আবার বলছে ব্যক্তিগত ভাবে সদস্য জোগাড় না করলে দলের পদে রাখবে না। পদটাই বুঝি রাখা যাবে না।”
জলপাইগুড়ি জেলায় বিজেপি সদস্য জোগাড়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ৫ লক্ষ। গত বারের অভিযানে দলের সদস্য ছিল লাখ খানেকের কিছু বেশি। সেই তালিকায় এমন অনেকে সদস্য ছিলেন, যাঁরা কোনওদিন পার্টি অফিসের চৌহদ্দিতে আসেননি। এ বার তেমন সদস্য প্রয়োজন নেই বলে দলের তরফে আগেই জানানো হয়েছে। যিনি সদস্য হচ্ছেন, তার বিস্তারিত তথ্যও জমা দিতে হবে।
গেরুয়া শিবিরের নেতাদের দাবি অনুযায়ী, যে কোনও নাম দিলেই হবে না, এ বছর সদস্য জোগাড়ের কাজটি বেশ কঠিন। তবে সদস্য জোগাড় করতে না পারলে দলের পদে থাকা যাবে না, এমন নির্দেশ গতবার ছিল না বলে দাবি।
বিজেপির কৃষক সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটিতে ১৩ জন পদাধিকারী রয়েছেন। জেলায় দলের ৯টি মণ্ডল বা ব্লক কমিটি রয়েছে। মণ্ডল কমিটিতে এক জন করে সভাপতি রয়েছেন। এই মোট ২১ জনের প্রত্যেককে একশো জন করে সদস্য জোগাড় করতে হবে। না হলে কোনও নেতারই সংগঠনের পদ থাকবেন না বলে লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির কৃষক সংগঠনের জেলা সভাপতি নবেন্দু সরকার। জেলা কমিটি সূত্রের খবর, রাজ্য থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় সদস্য সংখ্যার লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার বেঁধে দিয়েছিল। জেলা কমিটি সেই লক্ষ্য বাড়িয়ে ৫০ হাজার করেছে। তাতেই চাপ বেড়েছে নেতাদের।
জেলা সভাপতি নবেন্দুর মন্তব্য, “জলপাইগুড়ি আসন প্রায় দু’লাখ ভোটে জিতেছি। সে কারণে সদস্য জোগাড়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। আমি নিজেও বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে রাতে থেকে সদস্য জোগাড় করছি। সকলকেই তাই করতে হবে।”
সদস্য পদ নেওয়ার শেষ দিন ছিল ১১ অগস্ট। দলের তরফ থেকে তা আরও বাড়িয়ে ২০ অগস্ট করেছে। লক্ষ্যপূরণ না হওয়াতেই কী দিন বাড়ানো হয়েছে? তা নিয়ে অবশ্য নেতাদের কেউ কিছু বলছেন না।