প্রতীকী ছবি।
কলকাতা যাওয়ার আর একটি ট্রেন শীঘ্র পেতে পারে জলপাইগুড়ি-হলদিবাড়ি। ট্রেনটির সম্ভাব্য সময়সূচিও তৈরি করা হয়ে গিয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর। নতুন ট্রেনটিকে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে চালানোর প্রস্তাব রেল থেকে পাঠানো হয়েছে বিদেশমন্ত্রকে। সূত্রের দাবি, প্রাথমিক ভাবে সম্মতি মিললেও, বাংলাদেশের তরফ থেকে এখনও চূড়ান্ত সম্মতি মেলেনি। সে অপেক্ষায় রয়েছে রেল। তবে বাংলাদেশের সম্মতি মিলতে দেরি হলে, হলদিবাড়ি থেকে কলকাতা ট্রেনটিকে চালানো হবে।
হলদিবাড়ি থেকে চললে ট্রেনটি রাত ৮টার পরে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবে। রেল সূত্রের খবর, হলদিবাড়ি থেকে ছেড়ে ট্রেনটি জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে থামবে। এনজেপি স্টেশন থেকে ছাড়বে রাত সা়ড়ে ৯টার পরে। ট্রেনটি দার্জিলিং মেল বা পদাতিক এক্সপ্রেসের রুটে চলবে না বলে খবর। তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের রুটে বা অন্য কোনও পথে চলাচল করতে পারে।উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এক আধিকারিক বলেন, “পরিকল্পনা এবং প্রস্তাব হয়ে রয়েছে। তবে চূড়ান্ত ঘোষণা রেল বোর্ড থেকে করা হবে। নতুন বছরের শুরুতে যাত্রী সংখ্যা বেশি হয়। সে সময়ে নতুন ট্রেনটি চালানো হতে পারে।”
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে কলাকাতাগামী ট্রেন চলাচল করার ছাড়পত্র পেলে, নতুন ট্রেনটি ছাড়বে এনজেপি থেকে। তার পরে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে থেমে হলদিবাড়ি পৌঁছবে। হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি ঢুকবে ট্রেনটি। সে ক্ষেত্রে এনজেপি থেকে ভোর বেলায় ট্রেনটি ছাড়বে বলে স্থির হয়েছে। এই পথে ট্রেন চললে দূরত্ব অনেকটাই কমে যাবে। বাংলাদেশের একটি স্টেশনে ট্রেনটির স্টপেজ প্রয়োজন। সেটি কোন স্টেশনে হবে তা এখনও ঠিক হয়নি বলে খবর। জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, “নতুন একাধিক ট্রেনের প্রস্তাব রয়েছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সে সব নিয়ে রেল আমার সঙ্গে আলোচনাও করেছে। তবে যা বলার, রেলের তরফেই সরকারি ভাবে বলা হবে।”
বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে চলাচল করলে, নতুন ট্রেনের পুরোটিই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা নিয়ে চলাচল করবে বলে খবর। এ দিকে, জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজ শুরু করতে চলেছে রেল। হলদিবাড়ি থেকে রানিনগর পর্যন্ত ওভারহেড বিদ্যুতের কাজও আগামী মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।