—প্রতীকী চিত্র।
আসন একশোটি। কিন্তু ভর্তি হতে চেয়ে আবেদন করেছেন আড়াইশো জন। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজবংশী ভাষার সার্টিফিকেট কোর্স-এর দ্বিতীয় ব্যাচে এ বছর প্রায় তিন গুণ ভর্তির চাহিদা বেড়েছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন ওই কোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছুটা বদল আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, দ্বিতীয় ব্যাচে ওই কোর্সে এ বছর ভর্তির চাহিদা বাড়বে তা কয়েক মাস আগেই আঁচ পেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। সেই মতো, ওই কোর্সে ২০টি আসন বাড়ানো হয়। কিন্তু ওই কোর্সে প্রথম ব্যাচের তুলনায় ভর্তির চাহিদা যে তিন গুণ বাড়বে, তা বুঝতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। মাস দু’য়েক আগে রাজবংশী ভাষার সার্টিফিকেট কোর্সে দ্বিতীয় ব্যাচে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র নেওয়া শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার রায় এ দিন জানিয়েছেন, তরুণ, তরুণী থেকে বৃদ্ধ, উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন বয়সী মানুষের মধ্যে রাজবংশী ভাষার সার্টিফিকেট কোর্সে পড়ার আগ্রহ বাড়ছে। দ্বিতীয় ব্যাচে প্রথম ব্যাচের তুলনায় তিন গুণ বেশি ভর্তির আবেদন জমা পড়েছে। উপাচার্য বলেন, “দ্বিতীয় ব্যাচে মেধার ভিত্তিতে ওই কোর্সে একশো জন আবেদনকারীকে ভর্তি নেওয়া হবে। পরিকাঠামোর অভাবে এ বছর আসন বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। সমস্ত আবেদনকারীকে ডেকে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে মেধার ভিত্তিতে একশো জনকে ভর্তি করে জুন মাস থেকে ক্লাস শুরু করা হবে।”
প্রায় ন’মাস আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ৮০টি আসনে রাজবংশী ভাষার সার্টিফিকেট কোর্সে পঠনপাঠন শুরু হয়। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ যোগ্যতায় প্রথম ব্যাচে ওই কোর্সে জেলার ৮০ জন পুরুষ ও মহিলা ভর্তি হন। মাস তিনেক আগে, ওই কোর্সের প্রথম ব্যাচের পড়ুয়াদের পরীক্ষা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি, খুব শীঘ্রই ফল প্রকাশ করার চেষ্টা চলছে। প্রথম ব্যাচে আসনের তুলনায় অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তি হতে চেয়ে আবেদন করেননি। মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই আবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের ভর্তি নেওয়া হয়। এ বারে ভর্তির চাহিদা বাড়ায় ভর্তি প্রক্রিয়ায় বদল এনে, মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে মেধার ভিত্তিতে আবেদনকারী আড়াইশো জনের মধ্যে একশো জনকে নেওয়া হবে। রাজবংশী ভাষার সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তির চাহিদা বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে উপাচার্যের বক্তব্য, “আসলে উত্তর দিনাজপুর জেলায় রাজবংশী মানুষের সংখ্যা বেশি। জেলার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অনেকেই রাজবংশী ভাষা, রাজবংশীদের সংস্কৃতি ও সাহিত্য সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। রাজবংশী স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকারাও ওই কোর্সে পড়াশোনা করে আরও ভাল করে রাজবংশী ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি জানার ব্যাপারেও আগ্রহী।”