প্রতীকী ছবি।
ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন, ‘শুক্রবার হয় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করব, না হয় রাজনীতি ছেড়ে দেব।’ তার আগেই বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। তারপরেও কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জনসংযোগ যাত্রা সারলেন বিধায়ক উদয়ন গুহ। দিনহাটা দুই ব্লকের নয়ারহাট-গোবরাছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় বিধায়কের এই জনসংযোগ যাত্রায় শুক্রবার, শামিল হন দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়, দিনহাটা দুই ব্লক সভাপতি বিষ্ণুকুমার সরকার প্রমুখ। তবে, ওই কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মমতাজ বেগম ও পঞ্চায়েত সদস্যকে। নিজের দলের বিধায়কের এই কর্মসূচিকে ‘পুলিশ সংযোগ’ বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতাজ বেগম এবং প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মীর হুমায়ন কবীরের সঙ্গে উদয়নের বিরোধ শুরু হয়েছে গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে। কবীরকে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর সেই বিরোধ তীব্র হয়। উদয়ন অনুগামীদের অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েত এলাকায় উদয়ন গুহর কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। উদয়ন তাই বঙ্গধ্বনি যাত্রা এক সময় স্থগিত রাখেন। এ দিন ফের তাঁর এই কর্মসূচি ছিল। তাই এলাকায় গোলমাল এড়াতে সকাল থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল।
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মমতাজ বেগম বলেন, ‘‘ফেসবুকে দেখলাম শুক্রবার জনসংযোগে আসবেন বলে বিধায়ক লিখেছেন। বিধায়ক এখন তো ফেসবুকেই লড়াই করছেন। ফেস টু ফেস তাঁর কোনও লড়াই নেই। বাইরের গ্রাম থেকে লোক নিয়ে এসে জনসংযোগ করেছেন বিধায়ক। মানুষের থেকে পুলিশ বেশি।’’
বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘ঘরে বসে অনেক কথা বলা যায়। গ্রামের মানুষ দেখেছেন জনসংযোগ হল না পুলিশসংযোগ হল। আমরা গ্রামের বহু মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেছি।’’