প্রতীকী ছবি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার বার্তাতেও জেলায় দলের দ্বন্দ্ব কমার কোনও লক্ষণ নেই বলে অভিযোগ কর্মীদের একাংশের। উল্টে বিতর্ক বাড়তে শুরু করেছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেই যাচ্ছেন জেলার শীর্ষ নেতাদের অনুগামীরা।
অভিযোগ, পরিচয় গোপন করে তৈরি করা একাধিক ফেসবুক পেজ থেকেও একই আক্রমণ চলছে। সেই সঙ্গে ব্লক ও অঞ্চলে অঞ্চলে দুই গোষ্ঠীর অনুগামীরা আলাদা আলাদা কর্মসূচি করছেন। এই অবস্থায় দলের হাল কী করে ফিরবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন দলের রাজ্য নেতারা। তাঁরা টিম পিকের কাছ থেকে রিপোর্টের পাশাপাশি নিজেরাও আলাদা ভাবে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। সেই রিপোর্ট পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর কাছেও। তবে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই। সবাই মিলেই কাজ করা হচ্ছে।”
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি কোচবিহারে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তিনি বেশ কিছু কঠিন পদক্ষেপও করতে পারেন। একদিকে, দলের কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী চলে যাওয়ার পরে কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করবেন তিনি। সেই সঙ্গেই দলীর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর বার্তাও দেবেন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, কোচবিহারের প্রতিটি বিধানসভায় দলে দ্বন্দ্ব রয়েছে। অধিকাংশ বিধায়ক দাবি তুলেছেন, বিধানসভা এলাকা দেখভালের দায়িত্ব পুরোপুরি তাঁদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হোক। বর্তমানে কোচবিহার দক্ষিণ এবং কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক নেই। দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কোচবিহার উত্তরে বামেদের বিধায়ক রয়েছেন। ওই দু’টি আসনের দায়িত্ব শীর্ষ নেতাদের কাউকে দেওয়ার দাবি উঠেছে। একাধিক বিধায়ক দলের অন্দরে দাবি করেছেন, বিধায়করা দায়িত্ব পেলে এলাকায় দ্বন্দ্ব অনেকটাই কমে যাবে। এর বাইরে কেউ যদি কোথাও এমন কাজ করেন, যাতে বিজেপি সুবিধে পেয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয় তা হলে, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে কারা দলের মধ্যে থেকে দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
দলের অন্দরের খবর, দলনেত্রী জেলায় দলের অবস্থা সম্পর্কে পুরো রিপোর্ট পেয়েছেন। সেই ভিত্তিতে জেলায় এসে দলকে দিকনির্দেশ দেবেন। এক জেলা নেতার কথায়, “যদি কেউ দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখার চেষ্টা করেন, তাঁর বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে।”