—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এনজেপি থেকে মালদহ পর্যন্ত লাইনে ১৩০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালাল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। কাটিহার ডিভিশনের অধীন ওই এলাকায় এ রকম পরীক্ষামূলক সফর এই প্রথম বলে রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে। রেল আধিকারিকেরা জানান, নিরাপত্তা কমিশনারের অনুমোদন পেলে এই রুটে ট্রেনের গতি কিছুটা বাড়বে। যাত্রীবাহী ট্রেনের গতি ১৩০ কিলোমিটার হবে বলে দাবি করছে বিজেপি। তবে বাস্তবে তা কতটা হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে রেল আধিকারিকদের অনেকেরই। গতিময় যাত্রায় নিরাপত্তা আগে দেখা দরকার বলে দাবি তুলছে তৃণমূল।
লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গের নানা জায়গায় বাড়ছে ট্রেনের স্টপ। নতুন বন্দে ভারত চালু হওয়ার কথা নতুন বছরের শুরুতেই। এ বার আরও একটি পরীক্ষা সেরে ফেলল রেল। এনজেপি থেকে মালদহ টাউন পর্যন্ত লাইনে সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বাঁধা রয়েছে। তা সত্ত্বেও বন্দে ভারত ঘণ্টায় গড়ে ৭৫ এবং শতাব্দী ৬৭ কিলোমিটার বেগে চালানো হয়। অন্য মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি আরও কম গতিতে ছোটে।
কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম (সদর) রাজীব চৌধুরী রবিবার বলেন, ‘‘১৩০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালানোর মহড়া সফল হয়েছে। আমরা রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের অনুমোদনের জন্য পাঠাচ্ছি।’’ এ দিন এনজেপি থেকে মালদহ এবং মালদহ থেকে এনজেপি মাত্র দেড় ঘণ্টায় যাতায়াত করে বিশেষ ট্রেনটি। যদিও, রেল সূত্রের দাবি, সেটি ‘গ্রিন করিডর’ করে অর্থাৎ কোনও স্টপ ছাড়াই সুবিধামতো সিগনাল রেখে চালানো হয়েছে। অর্থাৎ, লাইনের গতি ১৩০ কিলোমিটার হলেও যাত্রীবাহী ট্রেন ওই সর্বোচ্চ গতিতে কোনও দিনই চলতে পারবে না বলে রেল সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। কারণ, কম দূরত্বের বিভিন্ন স্টেশনে স্টপ থাকে, থাকে সিগনালের সমস্যা, সতর্কতা, যাত্রী নিরাপত্তার মতো নানা বিষয়।
যদিও, বিজেপি ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করে দিয়েছে, এনজেপি থেকে কলকাতা যাতায়াতকারী ট্রেনগুলির গতিবেগ লোকসভা ভোটের আগেই বেড়ে যেতে পারে। জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, ‘‘ট্রেনের গতিবেগ বাড়বে। শতাব্দী এবং বন্দে ভারত, অন্য ট্রেনগুলি ১৩০ কিলোমিটার বেগে চললে অল্প সময়ে কলকাতায় পৌঁছনো যাবে।’’ গতি বাড়ানোয় আপত্তি না তুললেও যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘গতি বাড়িয়ে যাত্রী নিরাপত্তার দিকে নজর এড়ালে চলবে না। আগে যাত্রী নিরাপত্তায় নজর দিয়ে গতি বাড়াক রেল।’’