প্রতীকী ছবি।
আর কয়েকটা দিন। আগামী ১৩ অগস্ট দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর পুরভোট উপলক্ষে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলের পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতিদের প্রচারে এনে পালে হাওয়া টানতে দেখা গেল। বামদলের প্রচারে কিন্তু কতকটা যেন ভাটার টান। তার মধ্যে নজর কেড়েছে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম-তৃণমূলের যুযুধান দুই প্রার্থী ননদ-বউদির লড়াই। ননদ দীপান্বিতা রায় সিপিএম প্রার্থী। তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বউদি কামনা রায়।
পাশাপাশি বাড়ি দু’জনের। সংসার সামলে দু’জনেই সকালের পর থেকে এলাকায় বাড়িতে ভোট প্রচারে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চলছে সন্ধ্যা অবধি। পথে দু’জনের দেখা হলেই হেসে কথা বলছেন ননদ ও বউদি। দুজনেরই বক্তব্য, ‘‘রাজনীতি আমাদের সুসম্পর্কে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।’’ সিপিমএম প্রার্থী দীপান্বিতাদেবী বলেন, ‘‘আমার জ্যাঠতুতো দাদার স্ত্রী কামনাবউদি। আমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে ভোটে লড়লেও তিনি আমাদের পরিবারের একজন। এতে সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’ কামনাদেবীর গলাতেও এক সুর। তার বক্তব্য, ‘‘দীপান্বিতা আমাদের পরিবারের মেয়ে। আমার স্বামীর বোন। দুই পরিবারের মধ্যে মেলামেশা রয়েছে। ভোটের লড়াইয়ে নেমে আমরা সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়তে দিইনি।’’
কিন্তু রাজনীতির মাঠে নেমে অবশ্য কেউ কাউকে এক চুল জমি ছাড়তে নারাজ। রাজনীতিতে অভিজ্ঞ দীপান্বিতা। ২০১৩ সালে এলাকা থেকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতে শিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছিলেন তিনি। পুরসভা এলাকার মধ্যে গোটা শিবপুর পঞ্চায়েত অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দীপান্বিতার প্রধানের দায়িত্ব চলে যায়। সে দিক দিয়ে রাজনীতিতে আনকোরা হলেও কামনাদেবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে প্রচারে জোর বাড়িয়েছেন। এলাকাকে পুরসভার মর্যাদায় উন্নীত করার কৃতিত্বকে তুলে ধরে প্রচারে জোর দিয়েছেন তিনি। দীপান্বিতদেবী মনে করেন, ‘‘শহরবাসী অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা প্রশাসন যেন করে। এলাকার মানুষ তার পাশে রয়েছেন বলে তাঁর দাবি।’’