মন্ত্রী: জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের সামনে কিরেণ রিজিজু। নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা-সহ দেশের বেশ কিছু হাই কোর্ট কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন স্থায়ী প্রধান বিচারপতি পেতে চলেছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। মঙ্গলবার দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে জলপাইগুড়ি এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জলপাইগুড়ি পৌঁছেই স্টেশন রোডে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের সামনে ঝাড়ু দিয়ে ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের প্রতীকী সূচনা করেন। এর পরে হাই কোর্টের সার্কিট ভবন পরিদর্শন করেন তিনি। হাই কোর্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেলের ঘরে বসে বসে কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে সওয়াল করা আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেখানেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানান, এক-দু’দিনের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হবে। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব যিনি নেবেন, তাঁর সঙ্গে জলপাইগুড়ি সার্কিটের পরিকাঠামো নিয়ে তিনি কথা বলবেন বলেও তিনি জানান।
কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি দায়িত্বে রয়েছেন বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। তাঁকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম করেছে বলে খবর। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদেও তিনজন বিচারপতির নাম সুপারিশ করেছে কলেজিয়াম। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী এ দিন ইঙ্গিত করেছেন, সেই সুপারিশ মেনে দ্রুত নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হবে।
এ দিন মন্ত্রী সার্কিট ভবন পরিদর্শনের সময়ে জলপাইগুড়ি হাই কোর্ট বেঞ্চ বার অ্যাসোসিয়েশের সম্পাদক অভিজিৎ সরকার উপস্থিতি ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় আইনমন্ত্রীর। এখন অবশ্য জলপাইগুড়ি সার্কিটে শুনানি চলছে না। সে কারণে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী এজলাসে ঢোকেননি। পরে একটি সভায় রিজিজু বলেন, “এখন জলপাইগুড়ি সার্কিটে তিনটে বেঞ্চ বসছে। তিনজন বিচারপতি আসছেন। আমি প্রধান বিচারপতিকে বেঞ্চের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে অনুরোধ জানাব। আরও বেশি সংখ্যক বিচারপতি যদি জলপাইগুড়ি সার্কিটে বসতে পারেন তা নিয়েও কথা বলব।” তৃণমূল আইনজীবী সেলের সদস্যদের একাংশের দাবি, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানেন না যে, সার্কিট ভবনের পরিকাঠামোয় এর থেকে বেশি বেঞ্চ বসানো সম্ভব নয়। রাজ্য স্থায়ী ভবনের কাজ শুরু করেছে, তার পরে পুরোদস্তুর উত্তরবঙ্গের সব জেলা নিয়ে শুনানি হবে বলে তাঁদের দাবি।