মঙ্গলবার অধীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ইশা খানচৌধুরী, বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার, মোক্তাকিন আলম-সহ অন্য নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র
মালদহ জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের উদ্যোগে আয়োজিত মহামিছিল এবং সমাবেশে অংশ নিয়ে বিজেপি, তৃণমূলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেসের পা ধরতে হবে। বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি করছে তূণমূল। আজ ইমাম ভাতা, কাল পুরোহিত ভাতা দিয়ে বাংলার মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে। বাংলায় বিজেপিকে জমি তৈরির সুযোগ করে দিচ্ছেন দিদি।’’
মঙ্গলবার অধীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ইশা খানচৌধুরী, বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার, মোক্তাকিন আলম-সহ অন্য নেতৃত্ব। তাঁদের উপস্থিতিতে অধীর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘‘সবজির অগ্নিমূল্য। সেখানে পাঞ্জাব সরকার-সহ বেশ কিছু রাজ্য ব্যবস্থা নিয়েছে, সেখানে মমতার সরকার কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে বিজেপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে।’’
কৃষি আইন প্রত্যাহার-সহ একাধিক দাবিতে জেলা কংগ্রেস-এর উদ্যোগে মঙ্গলবার মালদহ শহর জুড়ে এক মহামিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। ইংরেজবাজার ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার কংগ্রেস কর্মী মহামিছিলে পা মেলান। মহামিছিলে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও। মিছিল শেষ হয় মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্ত্বরে। সেখানে এক সমাবেশে অংশ নেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
আরও পড়ুন: মহুয়ার মন্তব্যের নিন্দায় তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধীর বলেন, ‘‘আমরা মালদায় কোনও দিন হারিনি। জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে আমাদের জায়গা। আমাদের সমর্থন কোনও দিনও কমেনি। তার প্রমাণ আজকের এই মহামিছিল এবং সমাবেশ। আগামী দিনে মালদায় কংগ্রেস ভাল ফলাফল করবে। তৃণমূলের জন্য থাকবে বড় রসগোল্লা।’’ এর পাশাপাশি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে মহুয়া মিত্রের কুরুচিকর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বন্ধে মিশ্র প্রভাব হাওড়া জেলায়, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দাশনগরে