Arrest

কচ্ছপ কিনে ধৃত ২ ব্যক্তি

উত্তরবঙ্গে শীতে কচ্ছপের চাহিদা বাড়ে। এর আগেও দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর রেঞ্জ এলাকায় হাটগুলিতে নজরদারি চালিয়ে এক ব্যক্তিকে কচ্ছপ এবং মাংস-সহ গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ বন বিভাগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:০৭
Share:

নিষিদ্ধ উদ্ধার হওয়া দু’টি কচ্ছপ। নিজস্ব চিত্র।

বাড়ির অ্যাকোয়ারিয়ামে কচ্ছপ রাখবেন বলে এক জোড়া কিনে উচ্ছ্বাসে ফেসবুকে ‘পোস্ট’ করেছিলেন শিলিগুড়ির এক মহিলা। সমাজ মাধ্যমের সে ‘বার্তা’ ধরে খুঁজে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করল বন দফতর। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের তালিকায় দুষ্প্রাপ্য এই কচ্ছপ বিক্রির অভিযোগে মলের দোকানদার কৌশিক ভৌমিকও গ্রেফতার হয়েছেন। কলকাতা থেকে এনে, শিলিগুড়ির ওই মল থেকে আগেও তিনি কচ্ছপ বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পাচার ‘করিডর’-এ নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘এটা বন্ধ করতে হবে। আমি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছি।’’ শিলিগুড়িতে উদ্ধার কচ্ছপগুলিকে বেঙ্গল সাফারি পার্কের বন্য পরিবেশে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন আদালতের কাছে করেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

শিলিগুড়ির সংহতি মোড়ের একটি মল থেকে দু’টি কচ্ছপ কিনে বাড়িতে রাখার অভিযোগে সোমবার অভিযান চালিয়ে সেবক রোড লাগোয়া বঙ্কিমনগরের বাসিন্দা বাপি দত্তকে গ্রেফতার করে বন দফতর। তাঁর কাছে ভারতীয় টেন্ট প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বেলাকোবার রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত।

বন দফতর সূত্রে খবর, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ওই প্রজাতির কচ্ছপ। অভিযুক্তকে জেরা করে মলের দোকানদার কৌশিক ভৌমিককেও ধরা হয়। আধিকারিকদের দাবি, কৌশিক আগেও কলকাতা থেকে এনে শিলিগুড়ির একাধিক ব্যক্তিকে কচ্ছপ বিক্রি করেছেন। সে ক্রেতাদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই দাবি করেছেন, কেউই জানতেন না, কচ্ছপ বাড়িতে পোষা অপরাধ। তাই ফেসবুকে ‘পোস্ট’ করেছিলেন বাপির স্ত্রী।

Advertisement

বন দফতর সূত্রে দাবি, মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে বন আধিকারিকেরা প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন, এই প্রজাতির কচ্ছপের চাহিদা শিলিগুড়ি এবং সংলগ্ন এ‌লাকায় রয়েছে। তাই নিয়মিত ভাবে কলকাতা থেকে বাসে করে সেগুলি শিলিগুড়িতে আনা হত। আর কোন কোন মলে বা অ্যাকোয়ারিয়ামের দোকান থেকে এ রকম কচ্ছপ বিক্রি হচ্ছে, সে খবর এখনও বন দফতরের কাছে নেই। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান আধিকারিকেরা। কিন্তু বন দফতরের এতগুলি বিভাগ এবং রেঞ্জ, থানা পেরিয়ে কী ভাবে কলকাতা থেকে কচ্ছপ উত্তরবঙ্গে পাচার হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

উত্তরবঙ্গে শীতে কচ্ছপের চাহিদা বাড়ে। এর আগেও দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর রেঞ্জ এলাকায় হাটগুলিতে নজরদারি চালিয়ে এক ব্যক্তিকে কচ্ছপ এবং মাংস-সহ গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ বন বিভাগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement