টিএমসিপি-র অনশনে সমর্থন এবিভিপি-রও

আনন্দচন্দ্র কলেজে ভর্তির দাবিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একটি গোষ্ঠীর অনশন আন্দোলনকে সমর্থন জানাল বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। রবিবার এবিভিপি নেতৃত্ব বিবৃতি দিয়ে তাঁদের সমর্থনের কথা জানান। ওই ঘটনার পরে অস্বস্তি এড়াতে কলেজে দলীয় ছাত্র সংগঠনের বেড়ে চলা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে আসরে নামেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৫ ০২:২১
Share:

আনন্দচন্দ্র কলেজে ভর্তির দাবিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একটি গোষ্ঠীর অনশন আন্দোলনকে সমর্থন জানাল বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। রবিবার এবিভিপি নেতৃত্ব বিবৃতি দিয়ে তাঁদের সমর্থনের কথা জানান। ওই ঘটনার পরে অস্বস্তি এড়াতে কলেজে দলীয় ছাত্র সংগঠনের বেড়ে চলা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে আসরে নামেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন ছাত্র সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন দলের প্রদেশ সম্পাদক তথা কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য কল্যাণ চক্রবর্তী। আজ, সোমবার ফের তিনি ফের আলোচনায় বসবেন।

Advertisement

শুক্রবার বিকেল থেকে কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে টিএমসিপি-র একটি গোষ্ঠী আসন সংখ্যা বাড়িয়ে আবেদনকারী সমস্ত ছাত্রছাত্রীর ভর্তির দাবিতে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে অনশনে বসে। রবিবারেও ওই অনশন আন্দোলন চলে। গত বুধবার ওই গোষ্ঠীর সমর্থকরা অধ্যক্ষের ঘরে অবস্থান করে। অন্য গোষ্ঠীর সদস্যরা খালি পায়ে মিছিল করে। ঘটনা নিয়ে বিরোধী ছাত্র সংগঠন সহ বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে সমস্যার কথা শিক্ষামন্ত্রীকে না জানিয়ে কেন আন্দোলন! রবিবার এবিভিপি অনশনরত গোষ্ঠীর আন্দোলনকে সমর্থন জানায়। বিজেপি-র ছাত্র সংগঠনের কলেজ ইউনিট কমিটির আহ্বায়ক সু্মন ঘোষ বলেন, “ছাত্রছাত্রী ভর্তির দাবিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ যে অনশন আন্দোলন করছে তাঁকে সমর্থন করা হয়েছে।” এর পরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূল নেতৃত্ব তৎপর হন।

প্রদেশ সম্পাদক তথা কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য কল্যাণবাবু বলেন, “কলেজের ছাত্র সংগঠনের ছেলেদের সঙ্গে এক প্রস্থ কথা বলেছি। সোমবার আবার কথা বলব।” এবিভিপি-র সমর্থন নিয়েও তিনি কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। যদিও অনশনরত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিজু সূত্রধর জানান, আবেদনকারী সমস্ত ছাত্রছাত্রী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, “কল্যাণবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি ফের কথা বলতে চাইলে নিশ্চই বলব। কিন্তু ভর্তির দাবিতে আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথা এখনও ভাবিনি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement