১০ বিঘা ধানে আগুন, নালিশ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুকনো পাকা ধানের গাদায় আগুন জ্বলতে দেখে এলাকার বাসিন্দারাই তা নেভানোর চেষ্টা করেন। তুলসিহাটা থেকে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছনোর আগেই সব ধান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৩১
Share:

পুড়ে যাওয়া ধান। নিজস্ব চিত্র

ধান মাড়াইয়ের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার থেকেই। কিন্তু তার আগেই আগুনে পুড়ে ছাই হল দুই চাষির খামারে কেটে রাখা ১০ বিঘা জমির ধান। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কস্তুরিয়া এলাকায় এ দিন ভোরে ওই ঘটনা ঘটে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুকনো পাকা ধানের গাদায় আগুন জ্বলতে দেখে এলাকার বাসিন্দারাই তা নেভানোর চেষ্টা করেন। তুলসিহাটা থেকে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছনোর আগেই সব ধান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

খরচ করে ধানচাষের পরে তা এ ভাবে পুড়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে দুই চাষির। তাঁদের এক জন এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত, অন্য জন তাঁরই ভাই। কী ভাবে ঋণ শোধ করবেন, কী ভাবে বাকি চাষের কাজ হবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন দু’জনেই। পড়শি ও দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের সঙ্গে পুরনো শত্রুতার জেরেই রাতে তাঁদের ধানের পালে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোরে অগ্নিকাণ্ডের সময় অভিযুক্তদের এক জনকে ঘটনাস্থলে দেখা গিয়েছিল বলেও দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা তথা ধানচাষি দীপক সাহা। চার জনের নামে লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

Advertisement

হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, ‘‘পুরনো শত্রুতার জেরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ির পাশে খামারে পাকা ধানের আঁটি মজুত করে রেখেছিলেন দীপক সাহা ও তাঁর ভাই দুলাল সাহা। দীপকের সাত বিঘা ও দুলালের তিন বিঘা জমির ধানের পুরোটাই সেখানে রাখা ছিল। দীপক স্থানীয় শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের সম্পাদক। পাশাপাশি কস্তুরিয়া বুথের তৃণমূল সভাপতিও। তবে আদতে চাষবাসই মূল জীবিকা। এ দিন ভোরে শ্রমিকেরা ধান মাড়াই করতে এসে খামারে আগুন জ্বলতে দেখেন। তাঁরাই দীপককে খবর দেন।

দীপকের অভিযোগ, দূরসম্পর্কের দুই আত্মীয় ও দুই প্রতিবেশী মিলে এ কাজ করেছে। স্কুলের জমি দখল করে এক আত্মীয় ঘর তৈরি করেছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement