সিতাই যেন ‘অস্ত্রভাণ্ডার’

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম নূর মহম্মদ প্রামাণিক। সিতাইয়ের ভোলাচাতরা বাসিন্দা নূরকে যুব নেতা হিসেবেই তৃণমূলের অনেকে চেনেন। এ ছাড়াও ধৃত ধরণীকান্ত সরকার, সাবেদুল মিঁয়াও যুব তৃণমূলের নেতা। পুলিশ সুপারের অফিস থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার সময় সে কথা তাঁরা স্বীকারও করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিতাই শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৮ ০৩:৪৬
Share:

উদ্ধার: সিতাই থেকে মিলেছিল এমন অস্ত্রই। নিজস্ব চিত্র

গুলি-বন্দুক-বোমা, কাটারি-তির— কী নেই দিনহাটার সিতাইয়ের তৃণমূলের যুব কর্মীদের একাংশের কাছে!

Advertisement

বুধবার রাতে পুলিশি অভিযানের পরে বিষয়টি সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ জানিয়েছে, চারটি ওয়ান শটার, পাঁচটি গুলি, ছ’টি ধারাল অস্ত্র, ২৫টি তির, কাটা পাথর, প্রচুর দেশি বোমা এবং ১৮টি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা সকলেই এলাকায় যুব তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত বলে দলেরই একাংশের দাবি।

যদিও কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে সিতাইয়ের ঘটনায় কোনও রাজনীতি দেখছেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘এলাকায় কোনও বেআইনি কারবার বরদাস্ত করা হবে না। আরও কোথাও অস্ত্র রয়েছে কি না দেখা হচ্ছে।” গত তিন মাসে অন্তত ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র কোচবিহার জেলায় উদ্ধার হয়েছে। ৫০ জনের বেশি গ্রেফতার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম নূর মহম্মদ প্রামাণিক। সিতাইয়ের ভোলাচাতরা বাসিন্দা নূরকে যুব নেতা হিসেবেই তৃণমূলের অনেকে চেনেন। এ ছাড়াও ধৃত ধরণীকান্ত সরকার, সাবেদুল মিঁয়াও যুব তৃণমূলের নেতা। পুলিশ সুপারের অফিস থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার সময় সে কথা তাঁরা স্বীকারও করেছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ পৌঁছেছে, গীতলদহ, ওকরাবাড়ি, মাতালহাট, ভেটাগুড়ি, পুটিমারি থেকে শুরু করে নাজিরহাট, নয়ারহাট-সহ একাধিক জায়গায় আরও অস্ত্র মজুত রয়েছে। বিজেপি অভিযোগ করেছে, তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর হাতেই প্রচুর অস্ত্র রয়েছে। সেই জন্যই গীতলদহে পঞ্চায়েত ভোটের সময় একজন খুন ও দু’জন তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। বিজেপিরও সন্দেহ, শুধু দেশি পিস্তল নয়, তাদের হাতে অত্যাধুনিক নাইনএমএম থেকে শুরু করে সেভেন পয়েন্ট সিক্স এমএম পিস্তল রয়েছে।

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন রায় বলেন, ‘‘কোথায় কার বাড়িতে অস্ত্র মজুত রয়েছে পুলিশ জানবে না এটা হয় না। আসলে শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকাতেই তাঁদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি এলাকায় অপরাধ সংগঠিত করতে চাইছে। তারাই অস্ত্র মজুত করেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement