নিজস্ব চিত্র
গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার জাল নোট-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। একই ভাবে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ ৬০ হাজার টাকার জাল নোট-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। এই বিপুল পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)-সহ রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর কর্তাদের নতুন করে ভাবাচ্ছে।
রবিবার গভীর রাতে অভিযানে কালিয়াচক থানা ইসরাইল শেখ, ইউসুফ মিয়া এবং আনিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। প্রথম ২ জনের বাড়ি কালিয়াচকের সুবেদার টোলা গ্রামে। তৃতীয় জনের বাড়ি কালিয়াচকের নাসটোলা গ্রামে। কালিয়াচক থানার আইসি মদনমোহন রায় বলেন, ‘‘একেবারে নিচুতলার পাচারকারী-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ পাশাপাশি, বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশও অভিযান চালিয়ে ২ জন জালনোট পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত তৈমুর শেখের বাড়ি কুম্ভিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের জৈনপুর চামা এলাকায়, আজিজুর শেখের বাড়ি বৈষ্ণবনগরের বেদরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের চকসেরদি কেতাব টোলা গ্রামে। বৈষ্ণবনগর থানার আইসি নিম শেরিং ভুটিয়া বলেন, ‘‘জালনোট চক্রের ২ পাণ্ডাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
জঙ্গি মদতপুষ্ট হয়ে এই কারবার পুনরায় সক্রিয় হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। তদন্তকারী পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন পথে এই কারবার শুরু হয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে সহজে এই জাল নোট ভারতে প্রবেশ করছে। পদ্ধতিও পরিবর্তন করেছেন এই কারবারীরা। তাই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সীমান্তরক্ষীদের চোখে ধুলো দেওয়া সহজ হয়েছে। পুলিশকর্তাদের অনুমান ফসলের মধ্যে এই জাল নোট লুকিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হচ্ছে। গত একমাসে বৈষ্ণবনগর থানা প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৮ জনকে।