পরীক্ষা: কেন্দ্রে ঢোকার মুখে থার্মাল স্ক্রিনিং। জেইই মেন পরীক্ষার আগে, বুধবার। ছবি: স্বরূপ সরকার
১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে জেইই। চলবে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর সিট পড়েছে শিলিগুড়িতে। অনেকের কলকাতায়। কিন্তু করোনা-আবহে কী ভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা পৌঁছবেন, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
রায়গঞ্জের অশোকপল্লির বাসিন্দা শঙ্কর দাসের দাবি, শিলিগুড়ির পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার দুর্ভোগের কথা ভেবে ছেলে সৌরদীপকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে যাননি। কয়েক দিন আগে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সৌরদীপই প্রথম হন। বালুরঘাটের সৌরভ পালের বৃহস্পতিবার পরীক্ষা ছিল কলকাতায়। কিন্তু যাতায়াতে সমস্যার কথা ভেবে সৌরভ পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সৌরভ বলেন, ‘‘কলকাতায় যাতায়াতের সঠিক ব্যবস্থা থাকলে পরীক্ষা দিতে যেতাম। কিন্তু ভেবে দেখলাম, এই অবস্থায় গাড়ি ভাড়া করে কলকাতা যাতায়াত না করে কয়েক দিন পরের নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিই। কিন্তু ওই পরীক্ষাও কী ভাবে দিতে যাব তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।’’ বালুরঘাটের আর এক পরীক্ষার্থী রূপদর্শী রায়ের জেইই ছিল বুধবার। সোমবার লকডাউন থাকায় তাঁরা রবিবারই কলকাতায় পৌঁছে যান। রূপদর্শীর কথায়, ‘‘যাতায়াতে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। লকডাউনে বাস ছিল না। বাধ্য হয়ে রবিবার কলকাতায় পৌঁছে যাই। অতিরিক্ত খরচও হয়েছে, দুর্ভোগও।’’ রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ার পরীক্ষার্থী পম্পা সরকারের সিট পড়েছিল শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি স্কুলে। তাঁর বাবা বিশ্বনাথ বলেন, “রায়গঞ্জ থেকে শিলিগুড়ির বাস যে সময়ে ছাড়ে তাতে সকাল ৮টার মধ্যে মেয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো সম্ভব নয়। সোমবার লকডাউন থাকায় মেয়েকে নিয়ে শিলিগুড়িতে যেতে পারিনি। ওই দিন রাতে গাড়ি ভাড়া করে মেয়েকে নিয়ে শিলিগুড়ি রওনা দিই। সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে।”
পড়ুয়া ও অভিভাবকদের একাংশের দাবি, রায়গঞ্জ থেকে শিলিগুড়ির দূরত্ব প্রায় দুশো কিলোমিটার। সোমবার লকডাউন থাকায় যানবাহনের অভাবে অনেক পরীক্ষার্থী শিলিগুড়ি যেতে পারেননি। অনেকে সে দিন রাতে গাড়ি ভাড়া করে শিলিগুড়ি যান।