প্রতীকী ছবি
মিড ডে মিলে আলুর পরিমাণ কমল এক কেজি। চলতি মাসে পড়ুয়া পিছু ২ কেজি করে আলু দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের নির্দেশে। অগস্ট মাসের মিড ডে মিলের জন্য প্রকাশিত হওয়া নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পড়ুয়া পিছু এক কেজি করে আলু দেওয়া হবে। এবারে ডালও দেওয়া হচ্ছে না। তার পরিবর্তে এক কেজি করে ছোলা দেওয়া হবে। অগস্টের মিড ডের জন্য প্রথমে ২ কেজি করেই আলু দেওয়ার নির্দেশিকা এসেছিল। পরে তা বাতিল করে আলুর পরিমাণ ১ কেজি করে কমিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম নির্দেশিকায় চাল, আলুর সঙ্গে ডাল এবং সয়াবিন দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। পরের নির্দেশিকায় আলুর পরিমাণ কমানোর সঙ্গে ডাল এবং সয়াবিনও বাদ পড়ে, যোগ হয় ছোলা।
পাশাপাশি স্যানিটাইজ়ার কেনা নিয়ে বিতর্কের জেরে মিড ডে মিলে সাবান সরবরাহ থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। আগামী মাসে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকের পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের সামগ্রী বিলি করা হবে। চলতি মাসের শুরুতে চাল, আলু, ডালের সঙ্গে স্যানিটাইজ়ার বিলি করেছিল রাজ্য সরকার। জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন ব্লকে স্যানিটাইজ়ার কিনে সরবরাহ করেছিল বিডিও অফিস। তাতে নানা অভিযোগ ওঠে। স্যানিটাইজ়ার কেনার দাম সরকার বেঁধে দিয়েছিল ৫০ মিলির বোতল পিছু ২২ টাকা। জেলার পুর এলাকার স্কুলগুলিকে স্যানিটাইজ়ার কেনার দায়িত্ব দেয় প্রশাসন। অভিযোগ ওঠে, স্কুলগুলি নিজেরা যে দরে কিনেছে কিছু কিছু ব্লকের বিডিও অফিস তার থেকে বেশি দামে কিনেছে। তার মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
বিতর্কের জেরে স্যানিটাইজ়ারের পরিবর্তে সাবান সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। এ দিন সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিল, চাল, আলু ছোলার মতো সাবানও স্কুলকে কিনতে হবে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি বলেন, “মিড ডে মিলে যা যা দেওয়া হবে, তার গুনমান যাতে বজায় থাকে, তার উপর কড়া নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” সাবানের জন্য দশ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলার মিড ডে মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পুস্পা লেপচা বলেন, "বরাদ্দ ব্লকের মাধ্যমে বিল দেখিয়ে মিলবে।’’
সোমবারের নির্দেশে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী ২ অগস্টের মধ্যে খাদ্য দফতর থেকে চাল স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরের দু’দিনের মধ্যে সব সামগ্রী প্যাকেট সেরে রাখতে। আগামী ৫ থেকে ১০ অগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে শ্রেণিভিত্তিক মিড ডে মিলের সামগ্রী বিলি হবে জলপাইগুড়িতে।