লক্ষ্মী পুজোর সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে, ইংরেজবাজারের নেতাজি মার্কেটের রাস্তার ধারে। নিজস্ব চিত্র
রাত পোহালেই ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। তার আগে পুজোর বাজার করতে গিয়ে মাথায় হাত পড়েছে দুই দিনাজপুর ও মালদহ জেলার আমজনতার। অনেকেরই দাবি, এ বছর লক্ষ্মী প্রতিমা থেকে ফল, আনাজ-সহ পুজোর নানা উপকরণের দাম অনেকটাই বেশি।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার, হেমতাবাদ-সহ ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন বাজারে শুক্রবার লক্ষ্মী প্রতিমার দাম অনেকটাই চড়া ছিল বলে স্থানীয়দের দাবি। এ দিন জেলা জুড়ে সরা প্রতিমা একেকটি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন মাপের প্রতিমা ১৮০ টাকা থেকে দু’হাজার টাকা দাম দিয়ে কিনেছেন অনেকে। জেলায় এ দিন আপেল ও ন্যাসপাতি কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হয়েছে। আনাজের দামও কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে অনেকের দাবি।
পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুণ্ডুর বক্তব্য, “পাইকারি বাজারে ফল ও আনাজের দাম কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া ডিজ়েলের দাম বাড়ায় পরিবহণ খরচও বেড়েছে। তাই খুচরো বাজারে এর প্রভাব তো পড়বেই।”
অন্য দিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের তহবাজার-সহ বিভিন্ন বাজারে শসা, মুসম্বি, আপেল, কলা, বেদানা ছাড়াও বিভিন্ন ফলের দাম সাধারণ দিনের তুলনায় কেজি প্রতি ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। একটি পদ্মফুলের দাম ২০ টাকা। আতপ চাল ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
একই ছবি মালদহ জেলার বিভিন্ন বাজারেও। ইংরেজবাজার শহরের বাসিন্দা দীপালি সেনগুপ্ত বলেন, “নারকেল এক একটি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গুড় ও চিনির দামও অনেক বেশি। রান্নার গ্যাসের দামও বেড়েছে। তাই খরচ কমাতে এ বছর বাড়িতে নাড়ু না বানিয়ে বাজার থেকে ২০ টাকায় এক প্যাকেট রেডিমেড নাড়ু কিনে এনেছি। পরিমাণে কম হলেও তাতেই লক্ষ্মীপুজো সারব।” এ দিন মালদহে প্রতি কেজি ফুলকপি ১৬০ টাকা, আলু ৩০ টাকা ও বাঁধাকপি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
তথ্য সহায়তা: গৌর আচার্য, অনুপরতন মোহান্ত ও অভিজিৎ সাহা