এই টোটো করেই নিয়ে যাওয়া হল পার্সেল বোমা। নিজস্ব চিত্র
পার্সেল বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত টোটোচালকের হদিশ পেল পুলিশ। রবিবার সকালে রঞ্জন রায় নামে সেই টোটোচালককে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে আটক করে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা রঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। যদিও তাঁর বাবা দীঘল রায় দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ।
দীঘলের দাবি, রবিবার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে তিনিই তাঁর ছেলেকে ধরিয়ে দেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রঞ্জনই ওই পার্সেল তাঁর টোটো করে পৌঁছে দিয়েছিল হেমতাবাদের বাহারাইলের ওষুধ ব্যবসায়ী বাবলু চৌধুরীর কাছে। রঞ্জনের বাবার দাবি, তাঁর ছেলে টোটোয় যাত্রী নিয়ে বিষ্ণুপুর থেকে সমসপুর যাচ্ছিলেন। পথে দুই মোটরবাইক আরোহী রঞ্জনকে ওই পার্সেল দিয়ে বাবলুর কাছে পৌঁছে দিতে বলেন। ১০ টাকার বিনিময়ে ওই পার্সেল তিনি বাবলুকে দেন। কিন্তু ওই পার্সেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে রঞ্জন ঘাবড়ে যান বলে তাঁর পরিবারের দাবি। ভয় পেয়ে তিনি টোটো নিয়ে রায়গঞ্জের পকম্বা গ্রামে নিজের শ্বশুরবাড়িতে গা ঢাকা দেন বলেও তাঁর বাবা দাবি করেছেন।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা রঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর দাবির সত্যতা বোঝার চেষ্টা করছেন। কেন ঘটনা ঘটার পর রঞ্জন পুলিশের দ্বারস্থ হননি সেই প্রশ্নও উঠছে। এ কারণেই সন্দেহের তালিকায় রঞ্জন রয়েছেন বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। রঞ্জনের দাবি সত্যি হলে ওই পার্সেল প্রেরক কারা সে বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
পার্সেল বোমায় আহত বাবলুর সামাজিক অবস্থান দেখে তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, ওই বোমা নিছকই পরীক্ষামূলক ভাবে পাঠানো হয়েছিল। এই ধারণা সত্যি হলে ভিন্ন আশঙ্কার কথাও উঠে আসছে। তবে কি কোনও বড়সড় নাশকতার ছক কষছে দুষ্কৃতীরা? তাদের নিশানায় কি সীমান্ত এলাকা? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে।
বছর দু’য়েক আগে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। হেমতাবাদের এই পার্সেল বোমা বিস্ফোরণে সেই আশঙ্কাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।