—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শীতকাল মানেই জলসা। কোথাও গানের আসর, কোথাও যাত্রাপালা। সেই সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে জনসভাও শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর এমন সময়েই ফিরে এসেছে করোনার ভয়। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে সতর্কও করা হয়েছে। শীতের এই ভিড় নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। দেওয়া হচ্ছে সাবধানে থাকার পরামর্শ। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘এখনও কোনও নির্দেশিকা আমরা পাইনি। তবে সচেতন থাকা সব সময়ই ভাল। মাস্ক ব্যবহার করাও ভাল। জ্বর, সর্দি-কাশি থাকলে ভিড়ে যাওয়া ঠিক নয়।’’ কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালও সব রকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন এমএসভিপি রাজীব প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘করোনা যে সময় প্রথম শুরু হয়, সে সময় পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা ছিল। এখন তা আর নেই।’’
সামনেই ২৫ ডিসেম্বর, তার পরেই নতুন বছর। শহর থেকে গ্রাম, এখন সর্বত্রই জলসার আয়োজন করা হয়। বহু গ্রামে বসে যাত্রাপালার আসর। সব জায়গাতেই ভিড় হয় নজরে পড়ার মতো। ভিড় থেকেই সর্দি-কাশি ছড়িয়ে পড়ে। এক সময় ভিড় থেকেই করোনার সংখ্যাবৃদ্ধি হচ্ছিল। সে জন্য ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। সামনে লোকসভা নির্বাচনও। রাজ্যের শাসক ও বিরোধী—দুই পক্ষই একাধিক জনসভার ডাক দিচ্ছে। তৃণমূলের তরফে বিধানসভাভিত্তিক কর্মিসভার ডাক দেওয়া হয়েছে। প্ৰত্যেক সভাতেই পাঁচ থেকে দশ হাজার কর্মী-সমর্থকের ভিড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা যেমন থাকবে, সে ভাবেই আমরা কাজ করব।’’
বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সতর্কতা জারি করেছে। এই সময়ে প্ৰত্যেকের সতর্ক থাকা ভাল। বিশেষ করে কারও জ্বর-সর্দি-কাশি থাকলে, তাঁদের আমরা ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেব।’’