পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। ফাইল চিত্র।
কিরণচন্দ্র নৈশ ফুটবলের নাম পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক চলছেই। বিষয়টি নিয়ে খুশি নন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও। মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের দাবি মতো অর্থ সংশ্লিষ্ট পরিবারের তরফে দিতে না পারলেও কিরণচন্দ্র নৈশ ফুটবল নামেই ওই খেলা হওয়া উচিত বলে মনে করেন মন্ত্রী। ৬০ বছর ধরে চলা এই প্রতিযোগিতা ‘কিরণ চন্দ্র নৈশ ফুটবল’ নামেই পরিচিতি লাভ করেছে রাজ্যের সর্বত্র। কলকাতা থেকে অনেক ফুটবলার অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর হয়ে অতীতে খেলে গিয়েছেন।
ভারতীয় দলের ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহার বাবা প্রশান্তবাবু এক সময় ফুটবল খেলতেন। তিনিও মনে করেন কিরণ চন্দ্র নৈশ ফুটবল একটা পরিচিতি লাভ করেছে। যা স্থানীয় ফুটবলপ্রেমীদের কাছে গৌরবের বিষয়। সে কারণে প্রতিযোগিতা নাম পরিবর্তন করাটা কাম্য নয় বলেই তাঁর মত। প্রশান্তবাবুর কথায়, ‘‘টাকার জন্য নাম পরিবর্তন হওয়াটা কাম্য নয়। একটা ব্যবস্থা করা দরকার যাতে একই নামে ওই টুর্নামেন্ট চলে।’’
পর্যটনমন্ত্রী জানান, এই সমস্যার কথা তাঁকে আগে জানানো হয়নি। তিনি বলেন ‘‘টাকার সমস্যার জন্য এত দিনের পুরনো প্রতিযোগিতার নাম বদলে যাবে তা হয় না।’’ ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। প্রতিযোগিতার নাম যাতে বদল না হয় তা দেখা হবে বলে জানান তিনি।’’ ৫৪ বছর ধরে প্রয়াত কিরণ চন্দ্র ভট্টাচার্যর পরিবার থেকেই প্রতিযোগিতা চালনো হয়েছে। কয়েক বছর টাকার সমস্যার জন্য অন্য স্পনসর রাখতে হওয়ায় নাম বদল হয়। এক বছর স্পনসর না পেয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ পরিচিলিত নৈশ ফুটবল বলেই খেলা চলে। এ বছর শহরের বাসিন্দা প্রয়াত রাখাল চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের তরফে টাকা দিলে রাখালবাবুর নামে এ বছর প্রতিযোগিতার নাম রাখা হয়েছে। তা নিয়েই ছড়িয়েছে অসন্তোষ।
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম নির্মাণের সময় রাখালবাবুর ঠিকাদার সংস্থাও কাজ করেছিল। পর্যটনমন্ত্রী জানান, ‘‘রাখালবাবুর পরিবার তাঁর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা। তাঁর বিশেষ পরিচিত। তাঁরা চাইলে রাখালবাবুর নামে আলাদা প্রতিযোগিতা হতেই পারে।’’
কিরণ চন্দ্র ভট্টাচর্যের নাতি মাণিকবাবুরাও চেয়েছিলেন ঠাকুরদার নামে ওই ফুটবল প্রতিযোগিতা চলুক। টাকাও দিতে চেয়েছিলেন। তবে ক্রীড়া পরিষদের তরফে লক্ষাধিক টাকা চাইলে তাদের পক্ষে তা দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়। মাণিকবাবু বলেন, ‘‘সামর্থ্যের বাইরে অর্থ দেওয়ার সমস্যাও রয়েছে।’’
ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপ রতন ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদেরও অনেকে আগের নাম রাখতে বলছেন। কী করা যায় তা নিয়ে আমরাও ভাবনা চিন্তা করছি।’’