গরমে প্রচারের ফাঁকে ডাবে চুমুক গৌতম দেবের। শনিবার সন্দীপ পালের তোলা ছবি।
বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ তাঁর বিধানসভা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। এই বাজার তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে না পড়লেও তাই ব্যবসায়ীদের পাশে পেতে শনিবার ওই বাজারে প্রচার সারলেন গৌতম দেব। তবে বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তাদের এ দিন ডাকেননি তাঁরা।
বিধান মার্কেট অত্যাধুনিকীরণ করা বা বাজারের দোকান সংস্কারের শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে ব্যবসায়ীদের একাংশের মধ্যে বিরুপ মনোভাব রয়েছে। এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান হিসাবে গৌতমবাবুও চেয়েছিলেন বাজারের অত্যাধুনিকীরণ করতে। তবে ব্যবসায়ীদের একাংশের অনিচ্ছায় তা করা হয়ে ওঠেনি। এ দিন প্রচারের সময় বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কমর্কর্তাদের অবশ্য গৌতমবাবুর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি। তাঁরা জানিয়েছেন, গৌতমবাবু প্রচারে আসবেন বলে তাদের জানানো হয়নি। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘প্রচারে ব্যবসায়ী সমিতিকে যুক্ত করা ঠিক নয় বলেই ডাকা হয়নি। তবে পরে ওনাদের অফিসে গিয়েছিলাম।’’ তবে ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তাদের অধিকাংশ সে সময় ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন। ছিলেন ব্যবসাযী সমিতির সভাপতি সুব্রত সাহা। তিনি তৃণমূল মনোভাবাপন্ন বলেই জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সমিতির কমর্কর্তারা।
এ দিন পুরনো ডুয়ার্স বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল নিয়ে প্রচার শুরু করেন গৌতমবাবু। সঙ্গে ছিলেন লাগোয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নান্টু পাল এবং এলাকার কাউন্সিলর তথা নান্টুবাবুর স্ত্রী মঞ্জুশ্রী দেবী, কাউন্সিলর দুলাল দত্ত, বাবলা দত্তর মত নেতারা। কখনও দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে করমর্দ্দন করতে, পরিচিত ব্যবসায়ীকে জড়িয়ে ধরতে, কখনও হাত জোর করে হাসিমুখে ভোট চাইতে দেখা গিয়েছে গৌতমবাবুকে। মুরগিহাটি, বিধানমার্কেট, হংকং মার্কেট, লাগোয়া ক্ষুদিরামপল্লি সব্জি, ফল বাজারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রচার সারেন তিনি। কখনও গরমের মধ্যে প্রচারের ফাঁকে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ডাব খান। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘গৌতমবাবু এ দিন প্রচারে আসবেন আমাদের জানা ছিল না। জানলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতাম। আমাদের সমস্যার বিষয়টিও তাঁকে জানাতে পারতাম।’’ নান্টুবাবু জানান, এ দিনের প্রচার ভোটের জন্য রাজনৈতিক প্রচার। ব্যবসায়ীরাও ব্যস্ততার মধ্যে ছিলেন। তাই তাঁদের এ দিন সেভাবে ডাকা হয়নি।