মিরিক লেক। নিজস্ব চিত্র
প্রথমে আলাদা মহকুমা ঘোষণা করা হয়েছিল মিরিককে। পাশাপাশি মিরিককে নতুন করে সাজার ঘোষণাও করেছিল রাজ্য সরকার। সেই কাজ শুরু হলেও তা ঠিকমতো হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। অবশেষে মিরিকের গোটা প্রকল্পে অদলবদল করে কাজে গতি আনতে নতুন করে তৈরি হল উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ‘হাইপাওয়ার কমিটি’। সেই কমিটির মাথা রয়েছেন রাজ্যর পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। বিভিন্ন দফতরের প্রধান সচিবেরা রয়েছেন কমিটিতে।
সরকারি সূত্রের খবর, বিষক্রিয়ার জেরে প্রায়ই মিরিক লেকে মাছ মারা যাচ্ছিল। লেকের সামনের এলাকার সৌন্দর্যায়নের নকশা নিয়েও নানা মতামত উঠে আসছিল। সঙ্গে ছিল সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের (এসপিটি) কাজও। প্রশাসনের বিভিন্ন দফতর ও পুরসভা থেকে কাজের গতি, মান এবং নকশা নিয়ে নানা আলোচনা করা হচ্ছিল। তাতে কিছু অদলবদল প্রয়োজন হবে মনে করা হয়। বিশেষ করে লেকের জলের পরিস্থিতি নিয়ে সকলেই চিন্তিত ছিলেন। এই কারণেই গড়ে তোলা হল এই কমিটি। গত সপ্তাহে কলকাতায় পর্যটন, জলসম্পদ, নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিবদের নিয়ে তৈরি এই কমিটির বৈঠক করেছেন মন্ত্রী। প্রথমেই প্রায় ৩০ কোটি টাকায় মিরিক লেকের জল শোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক হওয়ার কথা মিরিকে। সেখানে মন্ত্রী ছাড়াও কমিটির সদস্য বিভিন্ন দফতরের প্রধান সচিবেরা থাকবেন। ওইদিন এলাকাগুলি ঘুরে দেখাও হবে।
২০১৭-তে পাহাড়ের একমাত্র মিরিক পুরসভাটি তৃণমূল দখল করে। তারপরে সেখানে সরকারি সভা করে মহকুমা ঘোষণা ছাড়াও মিরিকের উন্নয়নের একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিরিক লেক ও সংলগ্ন এলাকার কাজ শুরু হয়। মিরিকের উন্নয়নের জন্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘আগামী সপ্তাহে মিরিকে যাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত মিরিকে সাজিয়ে তুলতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করা হবে।’’
জেলা প্রশাসনের কয়েকজন অফিসার জানান, মিরিক লেকে’র আসল নাম সুমেন্দু লেক। ১৯৬৯ সালে থরবু চা বাগান থেকে ৩৩৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে মিরিক লেক এবং সংলগ্ন এলাকা সাজিয়ে তোলা হয়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়। এই লেককে ঘিরে সাড়ে তিন কিলোমিটারের রাস্তা এবং পাইনগাছে ঘেরা বাগান রয়েছে। এর নাম-‘সাবিত্রী পুষ্পদ্যান।’ আজাদ হিন্দ বাহিনীর সদস্য সাবিত্রী থাপা’র নামে এর নাম দেওয়া বলে জানা যায়।