গৌতম দেব এবং উদয়ন ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এবং শিলিগুড়ি পুর এলাকার জন্য ২০ কোটি টাকা করে খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি শহরে ১৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার মতো কাজের বিষয়টি চূড়ান্ত হয় এবং টেন্ডার-প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। সিদ্ধান্ত অনুসারে, আরও কিছু বরাদ্দ পেতে মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের সঙ্গে বৈঠক করলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। ঠিক হয়েছে, শহরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় দু’কোটি টাকা খরচে একটি ছোট সেতু তৈরি করবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘২০ কোটি টাকা শিলিগুড়ি পুর এলাকায় উন্নয়ন কাজে খরচ করা হবে ঠিক হয়েছিল। সেটা খানিকটা কম হয়ে যায়। বরং, মহকুমা পরিষদ এলাকায় একটু বাড়তি বরাদ্দ হয়। পুর এলাকায় একটু কম হয়েছে। সেটা মেয়র বলেছেন। মেয়র একটা সেতু তৈরির কাজের কথা বলেছিলেন। আমরাও বিভিন্ন জেলায় ছোটখাটো সেতু করার একটা পরিকল্পনা নিচ্ছি। এই পরিকল্পনার সঙ্গে মিলে যাওয়ায় সেতুর ওই কাজটা আমরা করব।’’
পুরসভা এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ অনেক পরিকল্পনা দিয়েছিলেন। এ নিয়ে মেয়র বলেন, ‘‘অনেকগুলো প্রস্তাব উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে দেওয়া হয়েছিল। সব তারা করতে পারবে না। শিলিগুড়ি পুর এলাকায় প্রায় ২০ কোটি টাকার কাজ তারা করবে।’’ সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর সঙ্গে কালিম্পঙে লেপচা উন্নয়ন বোর্ডের একটি কর্মসূচিতে দেখা হয়েছিল মেয়রের। তখনই প্রাথমিক কথাবার্তা হয়। সে মতো এ দিন মেয়র কথা বলতে গিয়েছিলেন। মেয়র জানান, পুর এবং নগরোন্নয়ন দফতর ৪২ কোটি টাকা দিয়েছে। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু কাজ করবে। পুরসভার নিজস্ব তহবিলে কিছু কাজ হবে। আরও অন্য প্রকল্প মিলে, পুর এলাকার চেহারা ছবি বেশ কিছু পরিবর্তন হবে। সে জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কাজগুলোর মধ্যে চারটি কাজ হয়েছে। কতগুলো টেন্ডার-প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। ওই কাজের অগ্রগতি নিয়ে এ দিন কথা হয়। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি সেতু এক কোটি ৯৯ লক্ষ টাকার কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেয়র বলেন, ‘‘মন্ত্রীকে জানালাম। তিনি সেটা গুরুত্ব গিয়ে দেখবেন বলে জানান। আরও উন্নয়ন পরিকল্পনা ভবিষ্যতেও হবে। এ রকম কিছু কাজের বিষয়ে নিয়ে সদর্থক বৈঠক হয়েছে।’’ মুন্সি প্রেমচাঁদ কলেজে একটি অ্যাকাডেমিক ভবন পাঁচ কোটি টাকায় করবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। ২৮, ৩৯, ৪১, ৪২ নম্বরে রাস্তায় নিকাশির কিছু কাজ করছে তারা।