যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার কিশোরী

চ্যাংরাবান্ধার যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার করা হল কাটোয়ার এক কিশোরীকে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই নাবালিকাকে এখানে বিক্রী করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৭ ০১:৪৮
Share:

চ্যাংরাবান্ধার যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার করা হল কাটোয়ার এক কিশোরীকে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই নাবালিকাকে এখানে বিক্রী করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

টানা প্রায় দশদিন একটি ছোট ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল তাকে। চলত মারধর ও অত্যাচার। ভেঙে পড়েছিল বছর ১৭ র ওই নাবালিকা। সেই খবর পৌঁছায় বিডিওর কাছে। সময় নষ্ট না করে মঙ্গলবার দুপুরে ‘খদ্দের’ সেজে ব্লক প্রশাসনের এক কর্মী পৌঁছে যায় চ্যাংরাবান্ধার যৌনপল্লিতে। চুপিসারে মোবাইলে ফোনে ছবি তুলে নেয় ওই নাবালিকার। রেকর্ড করা হয় তাঁর কথাও। এর পরেই সন্ধ্যায় পুলিশ ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে সঙ্গে নিয়ে মেখলিগঞ্জের বিডিও বীরুপাক্ষ মিত্র অভিযান চালান। ঊদ্ধার হয় ওই নাবালিকা। বিডিও বলেন, “বাড়ির মালিক পালিয়ে গিয়েছে। ওই নাবালিকাকে আটকে রেখে তাঁর উপর অত্যাচার হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পুলিশ জানিয়েছে, কাটোয়ার ডাঙাপাড়ায় ওই নাবালিকার বাড়ি। মা মারা গিয়েছে। বাবা বেঁচে থাকলেও সন্তানদের খোঁজ রাখেন না। ওই কিশোরী ও তার বোন দাদুর বাড়িতেই বড় হয়েছে। বহরমপুরের বাসিন্দা এক যুবকের আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে ডাঙাপাড়া গ্রামে। সেখানে যাতায়াতের সূত্রেই ওই নাবালিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই যুবক। দিন পনেরো আগে ওই যুবকই তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ওড়িশায়। সেখান থেকে চ্যাংরাবান্ধার যৌনপল্লিতে। পুলিশের সন্দেহ, মোটা টাকায় ওই নাবালিকাকে বিক্রি করে দিয়ে পালিয়েছে ওই যুবক। পাশাপাশি যারা ওই নাবালিকাকে আটকে রেখে দিয়েছিল তাদের খোঁজেও শুরু হয়েছে তল্লাশি। উদ্ধার হওয়ার পরে ওই নাবালিকা বিডিও ও পুলিশকে জানায়, তার উপরে শারীরিক অত্যাচার হয়েছে। মারধরও করা হত। খেতে দেওয়া হত না। এক তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের কথায়, “অভিযুক্তরা কেউ ছাড় পাবে না। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement