ধর্মঘটের সমর্থনে সভা ডুয়ার্সের চা বাগানে। নিজস্ব চিত্র।
ভারত বন্ধের সমর্থনে চা বাগানে কাজ বন্ধ রেখে অবস্থান মিটিংয়ে শামিল হলেন চা শ্রমিকরা। ডুয়ার্সের গ্ৰেন্দ্রাপাড়া চা বাগান, বানারহাট চা বাগানের গেটে শ্রমিকদের নিয়ে বুধবার সকালে মিটিং করে জয়েন্ট ফোরাম। বৃহস্পতিবারের বন্ধ চা বাগানগুলিতে যাতে সর্বাত্মক হয়, তার জন্যই জোরদার প্রচার চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, সারের দাম বৃদ্ধি, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে বাম, কংগ্রেস-সহ ১০টি সংগঠন ২৬ নভেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে। এর আগে একাধিক ধর্মঘটের প্রভাব বাগানে আংশিক ভাবে পড়েছিল। তাই এ বারের ধর্মঘট যাতে সর্বাত্মক হয়, তার জন্য মরিয়া জলপাইগুড়ি জেলার নেতারা। চা শিল্পের সঙ্গে ডুয়ার্সের বড় অংশের মানুষ যুক্ত। গত লোকসভা নির্বাচনে চা বাগানগুলিতে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। তাই চা বাগানগুলোতে প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি হারানো জমি ফিরে পেতে বিরোধী জোট মরিয়া বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জয়েন্ট ফোরামের কনভেনার জিয়াউল আলম বলেছেন, ‘‘দেশে খাদ্য সামগ্রীর দাম বেড়েই চলেছে। কোনও লাগাম নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। এমনকি, চা শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সদর্থক ভূমিকা নেয়নি। চা বাগান শ্রমিকদের একাধিক দাবি রয়েছে। চা শ্রমিকরা এখনও জমির অধিকার পাননি। তাঁদের পাট্টা দেওয়া হয়নি। তাঁদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিনের। সেটাও এখনও পর্যন্ত পূর্ণ হয়নি।’’
চা শ্রমিক ঊষা বিশ্বকর্মা, সুমত্রা মাহালি-রা বলেছেন, ‘‘বহুদিন থেকে আমরা নানান সমস্যায় ভুগছি। আমাদের যে মজুরিতে কাজ করতে হয়, তাতে সংসার চলে না। অনেকেরই এখনও রেশন কার্ড, আধার কার্ড নেই। চা শ্রমিকদের বেশ কিছু দাবি কালকের ধর্মঘটে রয়েছে। তাই আমরা বন্ধকে সমর্থন জানাব এবং বাগানে কাজ করব না।’’