গৌতম দেব। ফাইল চিত্র।
শিলিগুড়ি শহরকে যানজটমুক্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দাবি শাসক দলের। রবিবার একটি দলীয় কর্মসূচিতে ফের মনোরেলের দাবি তোলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলি ছুঁয়ে যাতে নতুন করে এলেভেটেড মনোরেল চালু হয়, তার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠাবেন বলে জানান তিনি। তার সঙ্গেই দার্জিলিং মোড়ের যানজটের সমাধানে পঞ্চনই নদীর উপর পুরনো ব্রিজের পাশে দু’টি অস্থায়ী ব্রিজ চালুর ব্যাপারেও মুখ্যসচিবের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা। যানজটে জেরবার এই শহরের দীর্ঘদিনের দাবি মেট্রোরেলের। আনন্দবাজার পত্রিকাই এ বিষয় প্রথম খবর করে।
রবিবার পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই মনোরেল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি শহর, মেডিক্যাল কলেজ, বাগডোগরা বিমানবন্দর এবং নকশালবাড়ি ছুঁয়ে যাতে নতুন করে মনোরেল নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করা হয় সেই প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীকে শীঘ্রই দেব।’’ বাম পরিচালিত পুরসভা এবং রাজ্যের শাসক দল হিসাবে তৃণমূল থাকায় দুই দলের সমন্বয়ের অভাবে যানজট কোনও সুরাহা হচ্ছে না। আগেও মনোরেলের প্রস্তাব নেওয়া হলেও তা মাঝখানে চাপা পড়ে যায়। পুরভোটের আগে ফের সেই দাবি নতুন করে তুলছে তৃণমূল।
শহরে দার্জিলিং মোড় নিয়েও দীর্ঘ দিনের জট রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার মাটিগাড়ার একটি বেসরকারি স্কুলের সামনে থেকে দার্জিলিং মোড় হয়ে শালুগাড়া পর্যন্ত উড়ালপুল তৈরির প্রস্তাব নিয়েও টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ। মন্ত্রীর অভিযোগ, প্রথমে ছ’লেনের রাস্তা করার কথা বললেও তা পরে চার লেনের হবে বলে দাবি করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সেই রাস্তা তৈরি হতে অনেক দেরি হতে পারে, তা ধরে নিয়েই দার্জিলিং মোড়ে পঞ্চনই সেতুর উপর দু’টি নতুন বেলি ব্রিজ তৈরির প্রস্তাব নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে। সোমবার একটা সরকারি অনুষ্ঠানে শহরে আসার কথা রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহের। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে পুরভোটের আগেই দার্জিলিং মোড়ের প্রকল্প তৈরি করে ফেলতে চায় শাসক দল।
পর্যটন মন্ত্রীর ইঙ্গিত, বিকল্প সেতু নিয়ে আলোচনা হবে, তার সঙ্গে নৌকাঘাট থেকে দার্জিলিং মোড় পর্যন্ত বিকল্প রাস্তা তৈরির প্রস্তাবও তিনি মুখ্যসচিবকে দেবেন।
যতদিন না পর্যন্ত উড়ালপুল তৈরি হচ্ছে, দার্জিলিং মোড়ে একটি বন্ধ
হোটেলের সামনে বাসস্টপ সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। মধ্যবর্তী এই ব্যবস্থাগুলির মাধ্যমে শহরবাসী যানজটের হাত থেকে কিছুটা মুক্তি পাবে বলে আশা শাসক দলের।