বড় দিনে পিকনিক করতে যাচ্ছিলেন হাজারদুয়ারিতে। তাই শনিবার রাতেই বোলেরো গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার জাহাঙ্গিরপুর পঞ্চায়েতের সাত বন্ধু। কিন্তু যাওয়া মাঝপথেই থমকালো। ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই যুবকের। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন।
শনিবার রাত ১২টা নাগাদ মালদহের কালিয়াচক থানার সুজাপুর হাসপাতাল মোড় এলাকার ঘটনা। এর জেরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজট সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে স্বাভাবিক করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত নাজেমুল মিঞা (২৮) এবং রুয়েল সরকারের (২২) বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার রামদেবপুর গ্রামে। নাজেমুল গঙ্গারামপুরের একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের অস্থায়ী কর্মী এবং রুয়েল গাড়ির চালক ছিলেন। আহতরাও গঙ্গারামপুর থানার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা প্রত্যেকেই গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন মালদহ মেডিক্যালে। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
শনিবার রাত ৮টা নাগাদ বোলেরো গাড়িতে সাত বন্ধু মিলে বেরিয়ে পড়েন। নাজেমুল ছাড়াও গাড়িতে ছিলেন দুলাল চক্রবর্তী, সুশান্ত রায়, লিয়াকৎ আলি, উমর আলি ও রঞ্জন ঘোষ। রুয়েল নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সুজাপুর হাসপাতাল মোড়ের কাছে বেপরোয়া গতিতে ধেয়ে আসা কালিয়াচকগামী একটি ট্রাক পিছন দিক থেকে গাড়িটিতে ধাক্কা মারলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে সেটি উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রুয়েলের। স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ভর্তি করেন সুজাপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। আঘাত গুরুতর হওয়ায় রাতেই তাঁদের স্থানান্তরিত করে দেন মালদহ মেডিক্যালে। সেখানে চিকিৎসকেরা নাজেমুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আহত লিয়াকৎ আলি বলেন, ‘‘বড়দিনে আনন্দ করতে যাচ্ছিলাম। এমন হয়ে যাবে দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি।’’
এ দিকে, জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে কালিয়াচক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে ওই ট্রাক ও তার চালকের খোঁজ পায়নি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, চালকের খোঁজ করা হচ্ছে।