উদ্ধার হওয়া সেই লেঙ্গুর। —নিজস্ব চিত্র।
নেপালের তীর্থযাত্রীদের বাসে পাওয়া গেল বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির লেঙ্গুর। শিলিগুড়ির কাছে ময়নাগুড়ি এলাকায় জাতীয় সড়কে ফাঁদ পেতে ওই বাসটি আটক করেন শুল্ক বিভাগের কর্মীরা। সেই বাসেই মিলেছে চারটি লেঙ্গুর।
শুল্ক আধিকারিকদের কাছে খবর ছিল মায়ানমার থেকে নেপালে কয়েকটি বন্যপ্রাণী পাচার করা হবে। সেই খবর পেয়েই জলপাইগুড়ির শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা রবিবার রাতে অভিযান চালান। ময়নাগুড়ির ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ফাঁদ পেতেছিলেন শুল্ক আধিকারিকরা। সোমবার ভোরে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে নেপালের ওই বাসটি সেখানে পৌঁছতেই তা থামানো হয়। সেই বাসে মেলে চারটি খাঁচা। তাতেই ছিল লেঙ্গুরগুলি। তবে বাসের চালক পলাতক। শুল্ক বিভাগের কর্মীরা বাসের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন তাঁরা নেপালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তীর্থযাত্রীদের নেপালের কাঁকরভিটায় পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে বাসটি নিয়ে আসা হয় ফুলবাড়ি সীমান্তে।
এর আগে গজলডোবায় অস্ট্রেলীয় ক্যাঙারু ধরা পড়েছিল। এর পর উদ্ধার হল লেঙ্গুর। একের পর এক বন্যপ্রাণী উদ্ধারের ঘটনায় প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক চোরাচালানকারীরা মূল রুট হিসাবে বেছে নিয়েছে ডুয়ার্সের এই অঞ্চলকে। কারণ, অসম থেকে ডুয়ার্স হয়ে খুব সহজেই অন্যান্য দেশে পৌঁছে যাওয়া যায়। তাই এই করিডর পাচারকারীদের পছন্দ বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।