পথ বদলাচ্ছে না দার্জিলিং মেল। — ফাইল চিত্র।
আপাতত পথ বদলাচ্ছে না দার্জিলিং মেল। হলদিবাড়ি থেকেই শিয়ালদহ পর্যন্ত চলাচল করবে এই ট্রেন। সূত্রের খবর, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল বোর্ড। তবে মাস কয়েক পরে, রেল বোর্ডের বৈঠকে ফের এ প্রসঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে খবর। তখন হলদিবাড়ি থেকে দার্জিলিং মেল চলাচলের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা হবে। এ দিকে, হলদিবাড়ি থেকে বিদ্যুতের ওভারহেড তার টানার কাজ শুরু করেছে রেল। আগামী এপ্রিলের পর থেকে বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিন দিয়েই হলদিবাড়ি পর্যন্ত দার্জিলিং মেল চলাচল করবে। এখন বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের আগে একটি ডিজ়েল ইঞ্জিন জুড়ে দার্জিলিং মেলকে হলদিবাড়ি থেকে এনজেপি পর্যন্ত যেতে হয়। আগামী শুক্রবার জলপাইগুড়িতে রেলের নানা পরিকাঠামো দেখতে আসার কথা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজারের।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি শহরের পাশ দিয়ে যাওয়া রেললাইনের গতিবৃদ্ধির কাজও চলছে। গুয়াহাটি থেকে এনজেপি পর্যন্ত চলাচলের প্রস্তাবিত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন ছুঁয়েই। এই লাইন ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগের উপযুক্ত করা হয়েছে। রেল সূত্রের দাবি, গতিবেগ বাড়িয়ে আগামী মাসদুয়েকের মধ্যে ১৪০ কিলোমিটার করা হবে। সে কাজই খতিয়ে দেখতে আসার কথা জেনারেল ম্যানেজারের। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেনের স্টপের পরিকল্পনা জানিয়েছে রেল। যার মধ্যে রয়েছে রাজধানী এক্সপ্রেসের স্টপের বিবেচনাও। রেল সূত্রের দাবি, হাই কোর্ট রয়েছে এমন কোনও শহর ছুঁয়ে যদি রাজধানী এক্সপ্রেস যাতায়াত করে, তা হলে সেখানে স্টপ হয়। জলপাইগুড়িতে হাই কোর্ট বেঞ্চের কাজ অস্থায়ী ভাবে চলছে এবং স্থায়ী ভবনের নির্মাণও চলছে। তাই জলপাইগুড়িতে ডিব্রুগড়-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের স্টপের প্রস্তাব গিয়েছে রেল বোর্ডে।
উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘অনেক প্রস্তাবই রয়েছে। রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। দার্জিলিং মেলের ক্ষেত্রে আপাতত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’
গত অগস্ট মাসে হলদিবাড়ি থেকে দার্জিলিং মেলের চলাচল শুরু হয়েছে। প্রথম ছ’মাসের পরে, রেল বোর্ডের সিদ্ধাম্ত হলদিবাড়ি থেকেই চলবে ট্রেনটি। এক বছরের মাথায় ফের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হতে পারে। এ দিকে, গোটা দার্জিলিং মেলকে জায়গা দিতে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশের প্ল্যাটফর্মও সম্প্রসারিত হতে চলেছে।