প্রতীকী ছবি।
পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের নির্দেশ দেওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই যথেচ্ছ গাড়ি ভাড়া নেওয়া রুখতে যৌথ অভিযানে নামল পুলিশ ও পরিবহণ দফতর।
বুধবার দুপুর অবধি এনজেপি’র ইন্ডিয়ান ওয়েল মোড়ে অভিযান চলে। স্টেশন থেকে আসা গাড়িগুলি দাঁড় করিয়ে পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলেন অফিসারেরা। গাড়ির নথিপত্রও খতিয়ে দেখেন। বেলা ১১টার মধ্যে দার্জিলিং মেল, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, পদাতিকে আসা পর্যটক বোঝাই অন্তত ৮০টি গাড়িকে দাঁড় করিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানেই প্রিপেড কাউন্টারে না গিয়ে ভাড়া ঠিক করে যাওয়ার জন্য ১১টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়। তেমনিই, ঠিকঠাক নথি না থাকায় সিকিমের একটি গাড়িকেও জরিমানা করা হয়েছে।
এনজেপি ট্রাফিক পুলিশের ওসি সুদীপ দত্ত, জলপাইগুড়ির এআরটিও অসীমকুমার মণ্ডল পর্যটকদের জানতে চান, ভাড়া কত দিয়েছেন তাঁরা এবং কেউ হেনস্থার শিকার হয়েছেন কি না। উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা নীলরতন মোহন্ত বলেন, ‘‘দু’বছর আগে এনজেপি এসে ভুগেছিলাম। যথেচ্ছ গাড়ি ভাড়া, হোটেল ভাড়া গুনতে হয়েছিল। এ বার তাই ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে এসেছি। পুলিশ, পরিবহণ দফতর ভাল কাজ করছে।’’
বিরাটির বাসিন্দা শ্রাবণী সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘বলল, প্রিপেডে গেলে নাকি লম্বা লাইন। তাই পাশের লাইন থেকে গাড়ি নিলাম।’’ আবার বহরমপুরের জয়দীপ বসু জানান, ‘‘প্রিপেড থেকে চালক স্লিপ নিল। পরে বলল, ভাড়া সংশোধিত হয়নি, তাই কিছু টাকা বেশি দিতে হবে।’’ তবে কোনও পর্যটক অভিযোগ দায়ের করেননি।
পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০০৮ সালের পরিবহণ দফতরের রেট অনুযায়ী চালকেরা দার্জিলিং ২২০০ টাকা, মিরিক হয়ে দার্জিলিং ২৭০০ টাকা এবং গ্যাংটকের জন্য ৩ হাজার টাকার প্রিপেডের স্লিপ কাটছেন। কিন্তু আদতে ৩-৫ হাজার টাকা ভাড়া নিচ্ছেন পুরনো রেট চার্টের দোহাই দিয়ে। মঙ্গলবারই মৈনাক অতিথি নিবাসে পর্যটনমন্ত্রী বৈঠক করে ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেন। সেই সঙ্গে দ্রুত পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে নতুন ভাড়ার তালিকা ঠিক করার আশ্বাসও দেন।
এনজেপি-র জাতীয়তাবাদী ট্যাক্সি ও প্রাইভেট কার ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সম্পাদক বাপি সিংহ বলেন, ‘‘নতুন ভাড়ার তালিকা এলেই সমস্যা মিটবে।’’ তবে জুলুম চলবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা। তিনি বলেন, ‘‘এখন থেকে নানা জায়গায় নিয়মিত অভিযান চলবে।’’