বাউল গানে প্রচার। নিজস্ব চিত্র
স্মার্ট কার্ড আছে। কিন্তু অসুস্থ হলে অনেকেই সচেতনতার অভবে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের সেই কার্ড নিয়ে হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে যাচ্ছেন না— প্রশাসনিক সূত্রে এমনই খবর মিলেছে।
জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, তার জেরে সরকারি ওই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হলেও মোটা টাকা চিকিৎসায় খরচ হচ্ছে। তা ছাড়া স্মার্ট কার্ড না নেওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছুটির সময় বাড়ি ফেরার খরচ বা পাঁচ দিনের ওষুধও নিখরচায় মিলছে না।
স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে তা-ই গম্ভীরা, আলকাপ, ডোমনি, বাউলের মতো লোকসংস্কৃতিকে ভরসা করে জেলা জুড়ে সচেতনতা প্রচার শুরু করল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে বাউল গানের মাধ্যমে সেই প্রচার শুরু করা হয়। তার সূচনা করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক অশোক মোদক।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নথিভুক্তকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল ৭ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৮৪ জনের। ইতিমধ্যে জেলায় ৭ লক্ষ ২৯ হাজার ৮৩৩ জনের নাম ওই প্রকল্পে নথিভুক্ত রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মালদহে ২৭ হাজার ৯৬৭ জন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পরিষেবা পেয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের মতে, সচেতনতার অভাবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের স্মার্ট কার্ড থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা নিতে পারছেন না উপভোক্তারা। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পেরেছি, স্মার্ট কার্ড থাকা সত্ত্বেও অসুস্থ হলে অনেকে হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ভর্তির সময় কার্ড নিয়ে যাচ্ছেন না। কার্ড নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না নিয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের পরিষেবা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন।’’
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই প্রকল্পে কোনও রোগী চিকিৎসার পরে বাড়ি ফেরার সময় ২০০ টাকা করে যাতায়াত খরচ পান। পাশাপাশি পাঁচ দিনের সমস্ত ওষুধও বিনামূল্যে দেওয়া হয় সরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমগুলি থেকে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক, ‘‘জেলায় গম্ভীরা, আলকাপ, বাউল গানের মতো লোকসংস্কৃতি জনপ্রিয়। সেই কারণে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে সে সবই হাতিয়ার করা হয়েছে।’’