শিলিগুড়ির মহিলা টি টোয়েন্টির ফাইনাল খেলার একটি মুহূর্ত। নিজস্ব চিত্র।
শিলিগুড়িতে প্রথম মহিলা ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হল কলকাতা।
রবিবার ফাইনালে তাঁরা শিলিগুড়িকে ৭ উইকেটে পরাজিত করে বিজয়ী হয়। শিলিগুড়ির দাগাপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের মাঠে এই প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হল। প্রথমবার শিলিগুড়িতে এই ধরণের প্রতিযোগিতা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়াতে খুশি শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্তারা। পরবর্তীতে আরও ভাল প্রতিযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, ‘‘প্রথমবার অনুযায়ী প্রতিযোগিতাটিকে সফল বলা যায়। কোচবিহার দলটি আসতে পারেনি। তারা এলে আরও ভাল হত। তবে এর সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামীতে আরও বড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে।’’
এদিন ফাইনাল উপলক্ষে মাঠে উপস্থিত ছিলেন সিএবির মহিলা ক্রিকেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মিঠু মুখোপাধ্যায়, ক্রীড়া পরিষদের কার্যকরী সভাপতি কুন্তল গোস্বামী, সহ সভাপতি মদন ভট্টাচার্য, ক্রিকেট সচিব জয়ন্ত ভৌমিকরা। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দলের হতে মন্টু ভট্টাচার্য ট্রফি তুলে দন তাঁরা।
রবিবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শিলিগুড়ি। তবে কলকাতার বোলারদের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের সামনে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে পারেনি শিলিগুড়ির মেয়েরা। বরং চাপে পড়ে মারতে গিয়ে বেশ কয়েকটি উইকেট খুইয়ে বসে তারা। তার মধ্যে ব্যাটিংয়ে যথেষ্ট মুন্সিয়ানা দেখিয়ে শিলিগুড়ির হয়ে ভাল ব্যাট করেন একমাত্র রীতা ঘোষ(৩৮)। তাকে আউট করার মত বল খুঁজে পায়নি কলকাতার বোলাররা। ম্যাচটি কলকাতা জিতে নিলেও ম্যাচে তাঁর সর্বোচ্চ রান টপকাতে পারেনি তারাও। নির্ধারিত ২০ ওভারে শিলিগুড়ি ৭৪ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা কখনওই স্নায়ুচাপে ভোগেনি। তিনটি উইকেট পড়লেও অনায়াস জয় কুড়িয়ে নিতে কোনও অসুবিধা হয়নি তাঁদের। ১৮ ওভারেই তারা জযের রান তুলে নেয়। কলকাতার হয়ে অনিন্দিতা চট্টোপাধ্যায় ২০, পর্ণ পাল ১৬ ও রঞ্জনা যাদব ১৩ রান করে। ব্যাটে বলে ভাল পারফরম্যান্সের জন্য ফাইনালের সেরার পুরস্কার দেওয়া হয় রঞ্জনা পালকে। প্রতিযোগিতায় এই দুটি দল ছাড়াও জলপাইগুড়ি অংশ নিয়েছিল। কোচবিহারের াসার কথা থাকলেও তারা আসতে না পারায় প্লে্ অফ পদ্ধতিতে খেলা হয়। প্রথম প্লে অফে জলপাইগুড়িকে হারিয়ে কলকাতা ফাইনালে পৌঁছায়। পরের খেলায় শিলিগুিড়র কাছে হেরে জলপাইগুড়ি বিদায় নেয়।