চলছে গন্ডার শুমারি। নিজস্ব চিত্র
আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডার শুমারি শুরু হল শুক্রবার। বন দফতর সূত্রের খবর, এ দিন ভোরে বনকর্মী, ফরেস্ট গাইড, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের নিয়ে আরম্ভ হয় গন্ডার শুমারি। দু’দিন ধরে ৫৫টি দলে ভাগ হয়ে তা চলবে। প্রথম দিন নির্বিঘ্নেই গন্ডার শুমারি শেষ হয় বলে খবর।
বন দফতর সূত্রে খবর, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ২৩২ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে জাতীয় সড়ক এবং বনবস্তি এলাকা বাদ দিয়ে ১৫০ বর্গ কিলোমিটারে গণনা হচ্ছে গন্ডারের। কুনকি হাতির পিঠে চড়ে বনকর্মী ও গন্ডার শুমারির কাজে যুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে এ দিন গন্ডার শুমারি শুরু করেন। এ দিন বেশ কয়েকটি গন্ডার শাবকের দেখা মিলেছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
২০১৯-এর শেষ গন্ডার শুমারিতে ২৩২টি গন্ডারের দেখা মেলে। এ বার সেই সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান বনকর্মীদের একাংশের। বন দফতরের তরফে গন্ডার শুমারি উপলক্ষে পর্যটকদের জন্য দু’দিন বন্ধ রাখা হয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানকে। গোটা এশিয়ায় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান একশৃঙ্গ গন্ডারের বাসস্থানের জন্য অন্যতম একটি জঙ্গল। তাই এখানে গন্ডারের সংখ্যার উপর তার নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ ও বিভিন্ন বিষয় নির্ভর করে। এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ প্রথম দিনের শুমারির কাজ শেষ করা হয়।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও দীপক এম বলেন, ‘‘আজ থেকে আমরা দু’দিন ব্যাপী গন্ডার শুমারি শুরু করেছি। নির্বিঘ্নেই কেটেছে প্রথম দিন। শুমারি শেষ হলে গন্ডারের সমখ্যা বলা যাবে।’’