আগুন ড্বলছে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের আবর্জনায়। তারই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে শহর জুড়ে।—নিজস্ব চিত্র।
ফের ইস্টার্ন বাইপাসে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আগুন লেগে ধোঁয়ায় ঢাকল শিলিগুড়ির আকাশ। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ওই ধোঁয়ায় যেন ভারী হয়ে যায় শিলিগুড়ির বাতাস।
পুরসভা থেকে দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে সাহায্য করে। তার পরেও অবশ্য ছাই চাপা আগুন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছে বিকেলের পরেও। তবে তার তীব্রতা কম ছিল।
শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আগুন লেগে যাওয়ার খবর পেয়েই তা নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলে খবর দিই। সকালের মধ্যেই তা নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।’’
তবে ময়লা পোড়ানোর জন্য আগুন লাগানো হয়নি বলে মেয়রের দাবি। নিজে থেকেই আগুন লেগে যায় বলে জানান তিনি। শিলিগুড়ি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক কর্তা জানান, বহুদিনের জমে থাকা ময়লা পচতে শুরু করলে তা থেকে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। সেটা বের হতে না পারলে ময়লার গাদায় চাপা থেকে ঘর্ষণে আগুন জ্বলতে পারে। তবে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভা যদি পচনশীল ও পচনশীল নয় এমন জিনিসগুলিকে ঠিক পদ্ধতিতে আলাদা করে নষ্ট করে ফেলে সেক্ষেত্রে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে তার জন্য সঠিক পরিকল্পনা করা দরকার। এর আগে কালো ও সবুজ পাত্রে আলাদা করে এই ধরণের জিনিস ভাগ করে নেওয়া হত। এখন তা ঠিকমত কার্যকর না হওয়াতেই এই সমস্যা হচ্ছে। যদিও মেয়রের দাবি, ‘‘সারা পৃথিবীতেই এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা।’’
সেবক রোড এলাকার এক বাসিন্দা শিবু সরকার জানান, রাত ১০ টা নাগাদ হঠাৎ খোলা জানালা দিয়ে ধোঁয়া ঢুকছিল। জানালা বন্ধ করে দিই। তখন কিছু বুঝিনি। পরে সাড়ে দশটায় বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে দেখি চারিদিকে কুয়াশার মত ধোঁয়ার চাপ জমে রয়েছে। তখন ভয় পেয়ে যাই।
ইস্টার্ন বাইপাস এলাকারএকটি আবাসনের বাসিন্দা কাকলি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ন’টার পর থেকেই ধোঁয়ায় টিঁকতে পারছিলাম না। জানালা দরজা বন্ধ করে, এসি চালিয়ে তারপরে কোনওমতে ধোঁয়া থেকে রক্ষা পেয়েছি।’’ বৈকুণ্ঠপল্লির বাসিন্দা বিজয় ছেত্রী বলেন, ‘‘সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি ফেরার সময়েই প্রবল ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ফলে কাশিও ধরে যায়। ভোরের পর থেকে ধোঁয়ার দাপট কমলে কিছুটা
স্বস্তি পাই।’’