চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের চেম্বারের জানলা জুড়ে কালো পোড়া দাগ৷ জানালায় নীল রঙের পর্দাটি ঝুলে রয়েছে ঠিকই, কিন্তু অর্ধেকের বেশিই পুড়ে গিয়েছে৷ খানিকটা দূরে অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটারের ঘরের দরজার অবস্থাও একই৷
এমন দৃশ্য নজরে আসতেই এদিন দুপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে৷ মহালয়ার জন্য এমনিতে এ দিন আদালতে ছুটি ছিল৷ কিন্তু দুপুরে স্পেশাল কোর্ট বসার আগে বিচারক, আইনজীবী ও কর্মীদের অনেকে আদালতে পৌঁছন ৷ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা সিজেএমের চেম্বারের জানলা খোলার সময়ই বিষয়টি এক কর্মীর নজরে আসে ৷ সঙ্গে সঙ্গে বাকি কর্মী ও আইনজীবীরা।
জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ কর্তারা আদালতে যান৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা আদালতে অগ্নি সংযোগের চেষ্টা করে৷ কিন্তু তারা তাতে সফল হয়নি ৷ জেলার সরকারি আইনজীবী গৌতম দাস সহ আদালতের প্রশাসনের সঙ্গে যুক্তরা বৈঠকে বসেন। কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলে তা দ্রুত জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। সরকারি আইনজীবী গৌতমবাবু বলেন, ‘‘এমন ধরনের ঘটনা আগে কখনও জলপাইগুড়িতে হয়নি। কেন এমন হল, তা যে ভাবেই হোক দ্রুত জানতে পুলিশকে উদ্যোগী হওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।’’
জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিজিৎ সরকার বলেন, দিন কয়েক আগে জেলা আদালতেরই পুলিশ কোর্টে নন জিআরের ঘরে থাকা নথিতে রাতে আগুন দেওয়া হয়েছিল৷ তাতে বেশ কিছু নথি নষ্ট হয়ে যায়৷ আর এ বার যে ভাবে দুই জায়গায় আগুন লাগানোর চেষ্টা হয়েছে, তাতে করে মনে হচ্ছে গোটা আদালতকেই পোড়ানোর পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের৷
আদালতের আরেক আইনজীবী শান্তা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অবিলম্বে এই ঘটনার কিনারা হওয়া প্রয়োজন৷’’
আদালত চত্বরে বর্তমানে একটি নর্দমা তৈরির কাজ চলছে৷ নর্দমার কাজে যুক্ত শ্রমিক অজয় রায় বলেন, ‘‘সকালে এসেই আমরা দেখলাম মেশিনটারও বেশ ক্ষতি হয়েছে৷’’ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে৷