প্রতীকী ছবি
লকডাউনে গাড়ির কর জমা দিতে না পারলে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফাইন দিতে হবে না। গত ২৪ জুলাই পরিবহণ দফতরের ওই নির্দেশিকা শিলিগুড়িতে এসে পৌঁছনোর পরে লাক্সারি এবং ট্যাক্সি মালিকদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেল। যদিও তাঁদের দাবি, লকডাউনের সময়ে অন্তত ছয় মাস কর মকুব করা হোক। এই দাবি সামনে রেখে ফের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে চিঠি দিচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন।
পর্যটক না থাকায় এমনিতেই সমস্যায় রয়েছেন লাক্সারি এবং টুরিস্ট ট্যাক্সির মালিকেরা। রোড ট্যাক্স সময়ে জমা না করার জন্য তাঁদের কাছে ফাইন নেওয়া হচ্ছিল বলে তাঁরা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের দ্বারস্থ হন। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত গাড়ি মালিকদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন গৌতম। তার পরেই ফাইন থেকে কিছুটা ছাড় মিলল।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জয়ন্ত মজুমদার বলেন, "পর্যটনমন্ত্রীর উদ্যোগে কিছুটা সমস্যা মিটেছে। কিন্তু আমাদের ছয় মাস কর মকুব না করলে মুশকিল। কারণ আমরা রাজ্যকে রাজস্ব অনেক বেশি দিই। পর্যটক নেই। তা-ও সেই পরিমাণ রাজস্ব দিতে হলে সমস্যায় পড়ব।"
পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব অবশ্য কর মকুব নিয়ে এখনই কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি। তিনি বলেন, "পর্যটন ব্যবসায়ীরা আবেদন করেছিলেন ছাড়ের জন্য। আমরা পরিবহণমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর নজরে বিষয়টি আনি। ফাইন না নেওয়ার মেয়াদ বাড়ানোয় কিছুটা সুবিধা তাঁরা পেলেন। বাকি বিষয়গুলি দফতরের সঙ্গে কথা না বলে বলতে পারছি না।"
পরিবহণ মালিকদের দাবি, সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত রোড ট্যাক্স ফাইনে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকি ফিটনেস, লাইসেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে সীমা সেই ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাখা হয়েছে। অথচ, রোড ট্যাক্স ছাড়া সেগুলির কোনওটিই করা সম্ভব নয়। উত্তরবঙ্গ বাস, মিনিবাস সমন্বয় কমিটির নেতা প্রণব শ্রীমানি বলেন, "আমাদের অনেকেই ফাইন দিয়ে ট্যাক্স জমা করে দিয়েছেন। তবে বাকিরা কিছুটা সুবিধা পাবেন।"