ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বর, চিন্তায় বাসিন্দারা

মেয়র বলেন, ‘‘এনজেপির দিকে ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া বিরোধী কর্মসূচি বাড়াবে পুরসভা। ১৫ নম্বরে কাউন্সিলর না থাকায় একটা সমস্যা তো রয়েছেই। রেল কলোনিতে পুরসভার পাশাপাশি রেলকেও উদ্যোগী হতে হবে।’’ এ দিনই পুরসভায় ডেঙ্গি নিয়ে একটি সমন্বয় বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিদের আসার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন তাঁরা আসেননি।   

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৫১
Share:

অপরিচ্ছন্ন: শিলিগুড়ির কাছে চরছে শুয়োর। নিজস্ব চিত্র

জ্বর এবং চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ শিলিগুড়ি শহরের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে লাগোয়া এনজেপিতেও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাশ্মীর কলোনি এবং সেন্ট্রাল কলোনি এলাকায় জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন। একজনের রক্ত পরীক্ষায় চিকুনগুনিয়া ধরা পড়েছে বলে দাবি। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এলাকায়। প্রায় সপ্তাহ দু’য়েক ধরে পুরসভার ৩২, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এই পরিস্থিতি চলছে।

Advertisement

এ দিনই ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে চারজন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। শুক্রবার সকালে মেয়র এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘‘এনজেপির দিকে ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া বিরোধী কর্মসূচি বাড়াবে পুরসভা। ১৫ নম্বরে কাউন্সিলর না থাকায় একটা সমস্যা তো রয়েছেই। রেল কলোনিতে পুরসভার পাশাপাশি রেলকেও উদ্যোগী হতে হবে।’’ এ দিনই পুরসভায় ডেঙ্গি নিয়ে একটি সমন্বয় বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিদের আসার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন তাঁরা আসেননি।

Advertisement

এনজেপির কাশ্মীর কলোনির বাসিন্দা সাড়ে চার বছরের ঋভু বিশ্বাস গত সাত দিন ভর্তি ছিল নার্সিংহোমে। শুক্রবারই ছাড়া পেয়েছে সে। তার মা ভারতী বিশ্বাস বলেন, ‘‘ছেলের চিকুনগুনিয়া হয়েছিল। এলাকায় শুয়োরের দাপট বেড়েছে। সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।’’ জ্বর হয়েছে কলোনির চার নম্বর লেনের বাসিন্দা রাজীব ছেত্রীর পরিবারেও। কাশ্মীর কলোনির গৃহবধূ জয়া রায়, অনুষা রায়দের দাবি, নর্থ কলোনির হরিজনবস্তিতে শুয়োরের খামার রয়েছে। রেলেরই এক কর্মী তা তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ। এলাকায় জ্বরের প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে সেই ব্যক্তিকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ ওই এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘শুয়োরগুলো বাড়ির উঠোন খুঁড়ছে। গাছপালা নষ্ট করছে। দরজা খোলা পেলে ঘরেও ঢুকে পড়ছে।’’ শুক্রবার পর্যন্ত শুয়োর সরানোর কোনও উদ্যোগ রেলের কর্তারা নেননি বলে অভিযোগ।

এলাকাবাসীদের একটি অংশের দাবি, অনেক বাড়িতেই জ্বর হয়েছে। যদিও অনেকেই রক্ত পরীক্ষা করাননি। কাশ্মীর কলোনি ও সেন্ট্রাল কলোনির সীমান্তে একটি ডোবা রয়েছে। যা জঙ্গলে ভরে রয়েছে। ওই জায়গা মশার আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। কলোনির বাড়ি ছাড়াও বাচ্চাদের একটি স্কুল রয়েছে, রয়েছে আঁকার স্কুলও।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘যিনি শুয়োর পালন করছে, তিনি রেলের কর্মী হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাকিটা পুরসভার দেখার কথা।’’ এলাকাবাসীর দাবি, মৌখিকভাবে বিষয়টি রেলের কর্তাদের জানানো হয়েছে। চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গির প্রকোপ ঠেকাতে রেলকে দ্রুত পদক্ষেপ করার দাব জানিয়েছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement