প্রতীকী ছবি।
নিজের মেয়েকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। নাবালিকার মুখে যৌন হেনস্থার কথা শুনে অভিযুক্ত বাবাকে গণধোলাই দিলেন স্থানীয়েরা। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘড়িয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। নাবালিকার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।
ধৃতের নাম ভরত সেন। পেশায় টোটোচালক। সম্পর্কে টানাপড়েনের জেরে স্ত্রী থাকেন অসমে। বাড়ঘড়িয়ার বাড়িতে ছোট্ট মেয়েকে নিয়েই থাকে ভরত। মেয়ে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে ভরতের নাবালিকা মেয়ে প্রতিবেশীদের জানায়, তার বাবাকে তাকে রোজই যৌন নির্যাতন করে। প্রথমে অনেকেই মেয়েটির কথায় বিশ্বাস করেননি। পরে পাড়ার মহিলাদের একাংশ নাবালিকার সঙ্গে কথা একান্তে কথা বলেন।
ধীরে ধীরে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হতেই স্থানীয়দের একাংশ ক্ষিপ্ত হয়ে ভরতকে ঘিরে ধরে মারধর করেন। স্থানীয় বাসিন্দা কৌশিক রায় বলেন, ‘‘ভরতের মেয়ে আমাদের জানায়, ওর বাবা ওর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে। এই শুনে আমরা ভরতকে গণপিটুনি দিয়েছি।’’ গণধোলাইয়ের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত বাবাকে আটক করে পুলিশ। নাবালিকাকেও নিয়ে আসা হয় থানায়। এর পর মেয়েটির বয়ানের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও ভরত তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নাবালিকাকে প্রথমে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, ভরতকেও সোমবার আদালতে হাজির করানো হবে।