আলোচনা: মাশরুমের চাষ নিয়ে জেলাশাসকের বৈঠক আগ্রহী কৃষকদের নিয়ে। শুক্রবার জেলা প্রশাসনিক ভবনে। নিজস্ব চিত্র
মাশরুম চাষের পদ্ধতি দেখতে বীরভূমে যাবেন মালদহের কৃষকেরা বলে জানাল জেলা প্রশাসন। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলার মাশরুম চাষি, ব্যবসায়ী ও দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। তিনি জানান, বীরভূমে মাশরুম চাষ ভাল হয়। সে চাষ দেখতে আগামী সোমবার জেলার ১০ জন কৃষককে বীরভূমে পাঠানো হবে। এ ছাড়া, জেলায় মাশরুম চাষ বাড়াতে মহিলা ও পুরুষদের নিয়ে একটি ‘ক্লাস্টার’ও গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান তিনি। প্রশাসন মাশরুম চাষ নিয়ে তৎপর হওয়ায় খুশি জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
প্রশাসনের দাবি, ২০১৭-১৮ সালে ইংরেজবাজার ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েতে মাশরুম চাষ শুরু হয়। এর পরে, স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে জেলা জুড়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা মাশরুম চাষ শুরু করেন। তবে চাহিদা থাকলেও বীজ সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হওয়ায়, মাশরুম চাষ জেলায় থমকে যায়। এ ছাড়া, বাজার ধরতে সমস্যায় পড়তে হয় মাশরুম চাষিদের। ইংরেজবাজারের যদুপুরের বাসিন্দা নির্মলা সরকার বলেন, ‘‘মাশরুমের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া দামও ভাল পাওয়া যায়। তবে বীজ না মেলায় মাশরুম চাষ বন্ধ করে দিতে হয়।’’
মাশরুম চাষিদের দাবি, মাশরুম চাষের জন্য ঠান্ডা স্যাঁতসেঁতে ঘরের প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া খড়, চুন, ব্লিচিং দিয়ে সিলিন্ডারের মতো একটি স্তম্ভ তৈরি করতে হয়। এর পরে, গমের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক মিশিয়ে মাশরুমের বীজ তৈরি করা হয়। সে রাসাসনিক পেতে হিমশিম খেতে হয় বলে জানান কৃষকেরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহের প্রশাসনিক বৈঠকে মাশরুম নিয়ে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ায়, আশার আলো দেখছেন জেলার কৃষকেরা।
এ দিন বৈঠকে আধিকারিকদের পাশাপাশি কৃষি বিশেষজ্ঞেরাও ছিলেন। প্রশাসনের দাবি, সোমবার জেলা থেকে ১০ জনের একটি প্রতিনিধি বীরভূমে গিয়ে মাশরুম চাষ দেখবেন। জেলায় ফিরে অন্যদেরও প্রশিক্ষণ দেবেন। জেলাশাসক বলেন, ‘‘মাশরুমের বাজার নিয়েও হোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে।’’