কৃষক মজির হোসেনের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র ।
অর্থ সীমিত, কিন্তু তা দিয়েই নিজের বাড়িটিকে স্বপ্নপুরীর রূপ দিয়েছেন মজির হোসেন। নিজের কল্পনায় বাড়িকে বিনোদন পার্কের রূপ দিয়েছেন কৃষক মজির। তাঁর বাড়ি দেখতে এখন দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসছেন। তবে তাতে বিরক্তি নেই কৃষক দম্পতির।
মাথাভাঙা ২ ব্লকের ঝাউগুড়ি গ্রামে এখন ‘কৃষকের বাড়ি’ বললেই সবাই দেখিয়ে দেন মজিরের সাজানো বাড়িটি। গোটা বাড়িটি যেন একটি পার্ক। এই মজির হোসেন এক সময় মোষের গাড়ি চালাতেন। তারপর কৃষিকাজে মন দেন তিনি। শখ করে প্রায় ২০ বছর ধরে একটু একটু করে রকমারি গাছগাছালি দিয়ে নিজের বাড়িটিকে সাজিয়েছেন তিনি। বাড়ির চারপাশে প্রায় ৭০০ সুপারি গাছের সারি। সেই সুপারি ও জমির ধান বিক্রি করে যা উপার্জন হয় তার সিংহভাগ ব্যয় হয় নিজের বাড়ির পিছনেই। শীতে মৌসুমী ফুলের গাছে সেজেছে এই বাড়ি। বাড়ির চারপাশের জমিতে সৌন্দর্য্যের জন্যই সরষে খেত করেছেন মজির। রয়েছে অসংখ্য ঝাউ, পাতাবাহার গাছ। ফুলে, ফলে , নামী-অনামী বিভিন্ন গাছপালায় বাড়িটিকে এখন স্বর্গ মনে হয়। মাটির মেঝে , টিনের ঘরকে যে এত সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা যায় তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।
কৃষক মজির হোসেনের বাড়িতে ঢুকতেই ঝাউ গাছ পাতাবাহার, ধুপিগাছ, কাগজ ফুলগাছের সার নিয়ে যাবে অন্য জগতে। পাখিদের কলকাকলিতে ঠিক যেন স্বপ্নপুরী। বাঁশের রেলিং দেওয়া লম্বা বারান্দা। টিনের দেওয়ালে স্বামী বিবেকানন্দ থেকে নজরুল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-সহ বিভিন্ন মনিষীদের ছবি শোভা পাচ্ছে। বহুমূল্য বিভিন্ন গাছপালা লাগানো রয়েছে কৃষিজমির বিভিন্ন প্রান্তে। মজির হোসেন বলেন, ‘‘প্রতি দিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে যখন প্রশংসা করেন, তখন মন ভরে যায়। তবে টাকা তো বেশি নেই। বাড়ি-সহ ২২ বিঘা জমির ফসল বিক্রি করে যে মুনাফা হয় তার একটা অংশ সঞ্চয় করে চলে বাড়ি সাজানোর কাজ।